ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা (Photo Credits: ANI)

আগরতলা, ২৮ জানুয়ারি: ত্রিপুরায় সিংহাসন ধরে রাখার লড়াইয়ে স্থানীয় মুখেই ভরসা রাখল বিজেপি। রাজ্যের ৬০টি-র মধ্যে ৪৮টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল পদ্মশিবির। বাকি ১২টি আসনে প্রার্থীদের নাম শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে বিজেপি জানিয়েছে। স্থানীয় দলগুলোর সঙ্গে জোট করার চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ার পর একলা চলো নীতিতেই ত্রিপুরায় লড়তে চলেছে বিজেপি। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এক দফায় ত্রিপুরায় ৬০টি আসনে বিধানসভায় ভোটগ্রহণ হবে। বিজেপি-র ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াইয়ে প্রধান চ্য়ালেঞ্জ সিপিএম-কংগ্রেস জোট। ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১৮-তে প্রথমবার ত্রিপুরায় ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি।

ত্রিপুরা পশ্চিমের সাংসদ হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়া প্রতিমা ভৌমিককে প্রার্থী করল বিজেপি। নরেন্দ্র মোদী মন্ত্রিসভায় সমাজিক বিচার-ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বিজেপি-র টিকিটে লড়বেন ধনপুর থেকে।

মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে টাউন বরোদোওয়ালি থেকেই প্রার্থী করা হয়েছে। এই কেন্দ্র থেকেই উপনির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মানিক সাহা। ২০২২ টাউন বরোদোওয়ালি উপনির্বাচনে মানিক সাহা প্রায় ৬ হাজার ভোটে হারিয়েছিলেন কংগ্রেসের আশিস সাহাকে। দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব সামলাতে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে ২০২২ সালের মে মাসে মানিক সাহাকে ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছিলেন শাহ-নাড্ডারা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কেন্দ্র বনমালিপুর থেকে প্রার্থী করা হল রাজ্য বিজেপি সভাপতি রঞ্জিব ভট্টাচার্য-কে। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর রাজ্যসভায় সাংসদ করা হয় বিপ্লব দেবকে।

দেখুন কোন আসনে কী বিজেপি প্রার্থী

২০১৮ বিধানসভা ভোটে বিজেপি+আইপিএফটি জোট ৫০ শতাংশের বেশী ভোট পেয়ে জিতেছিল ৪৩টি-তে, বামেরা পেয়েছিল ১৬টি, কংগ্রেসকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। ২০১৩ সালে যেখানে বিজেপি ত্রিপুরায় মাত্র এক শতাংশ ভোট পেয়েছিল।

তবে ত্রিপুরায় প্রথমবার ক্ষমতায় এসে বিজেপি সরকারের সফর একেবারেই মসৃণ হয়নি। বিপ্লব দেবের বিতর্কিত মন্তব্য, দলের বিধায়কদের মধ্যে তুমুল ক্ষোভে ত্রিপুরায় পদ্ম কাঁটা ক্রমশ বিপজ্জনক জায়গায় যেতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে এনেও দলীয় কোন্দল সামাল দিতে পারেননি শাহ-নাড্ডারা। এর মধ্যে আবার দলীয় বিধায়কদের দল ছাড়ার পাশাপাশি আইপিএফটি-র মত এনডিএ-র শরিক দলেরাও পদ্ম সঙ্গ-ত্যাগ করায় চাপ বেড়েছে বিজেপি-র ওপর। এখন দেখার দিল্লি থেকে উড়ে এসে নরেন্দ্র মোদী এখান থেকে দলকে ঘুরে দাঁড়া করাতে পারেন কি না।