সুপ্রিম কোর্টের ফাইল ছবি (Photo Credit: IANS)

নতুন দিল্লি, ১৫ নভেম্বর: জোড়-বিজোড় নীতি (Odd-Even) রাজধানীর দূষণ রোধের সমাধান হতে পারে না। দিল্লির বাতাসে দূষণমাত্রা ৬০০, মানুষ শ্বাস নেবে কী করে? কেজরিওয়াল সরকারকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। একই সঙ্গে কেন্দ্রকে এও জানাল, যত দ্রুত সম্ভব রাজধানীর দূষিত বাতাস নির্মল করতে এয়ার পিউরিফায়িং টাওয়ার লাগাতে হবে। রাজধানীর সর্বত্র থাকবে এই টাওয়ার (air-purifying towers)। দিল্লির দূষণের সঙ্গে যুঝতে হলে এ ছাড়া গতি নেই। আর গাড়ির জোড়-বিজোড় নীতি দূষণ কমাতে কতটা কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছে তা-ও রাজ্য সরকারের কাছে এদিন জানতে চায় দেশের শীর্ষ আদালত।

সবটা শোনার পর সুপ্রিম কোর্টের উপলব্ধি, জোড়-বিজোড় নীতি কখনওই সমাধান সূত্র হতে পারে না। কেননা গাড়ি সাধারণত ৩ শতাংশ দূষণের কারণ। জঞ্জালের ভ্যাট, নির্মাণকাজের রাবিশ ও রাস্তার ধুলো অনেক বেশি দূষণ ছড়ায়। এদিকে দূষণ থেকে বাঁচতে গতকাল ও আজ রাজধানী ও এনসিআর-এর সমস্ত স্কুলগুলি বন্ধ রয়েছে। দূষণ কাটিয়ে দিল্লিকে মুক্ত বাতাসে ফেরাতে স্কুল পড়ুয়ারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। এদিকে সথ চেষ্টাতেও প্রতিবেশী রাজ্যের খড় পোড়ানোর কাজ বন্ধ করা যায়নি। যত পাঞ্জাবে খড় পুড়ছে ততই কালো ধোঁয়ায় ঢাকছে রাজধানীর আকাশ। বিষবাষ্পে প্রাণান্তকর অবস্থা হচ্ছে বাসিন্দাদের। আরও পড়ুন-Delhi Air Pollution: জোড়-বিজোড় নীতির শেষ দিনেও রাজধানীতে চড়া দূষণ, মুক্ত আকাশ পেতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পড়ুয়াদের

বলা বাহুল্য, শুক্রবারেও রাজধানীর আবহাওয়ার কোনও উন্নতি লক্ষ্য করা গেল না। দূষণমাত্রা একই রকম বিপদসীমার উপরেই রয়েছে বেলা আড়াইটে ও রাত দশটায় লোধী রোডের দূষণমাত্রা ৫০০-তেই থমকে আছে। খোলা আকাশের নিচে এক মুহূর্তে স্বস্তিতে দাঁড়িয়ে থাকার উপায় নেই। কালো ধোঁয়ার চাদরে ঢেকেছে বায়ু মণ্ডল। একে দৃশ্যমানতা কম তায় বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়াটাই রাজধানীর বাসিন্দদের কাছে কষ্টকর হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত। এদিকে ক্রমবর্ধমান দূষণকে রুখতে গাড়ির জোড় বিজোড় নীতি চালু করেছিল কেজরিওয়াল সরকার। আজ তার শেষ দিন। এখনও পর্যন্ত এই স্কিমের সময়সীমা বাড়ানোর কোনও খবর নেই। তবে রাজধানীর দূষণমাত্রা চড়চড়িয়ে বেড়েই চলেছে।