নতুন দিল্লি, ১৪ নভেম্বর: রাফাল মামলার পুনর্বিবেচনার আবেদনে (Rafale Review Plea) সিবিআই তদন্তের (CBI probe) দাবি খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্ব গঠিতে তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। শবরিমালায় মহিলাদের প্রবেশ সংক্রান্ত মামলার পুনর্বিবেচনার মতো এদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাফাল মামলারও রায়দান ছিল। রাফাল মামলার নিষ্পত্তিতে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিল আবেদনকারী, এদিন সেই দাবি খারিজ করে দিল প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিচারপতি এসকে পাওল ও কেএম জোসেফের ডিভিশন বেঞ্চ (Supreme Court judicial body)। এদিন শুনানিতে তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘রাফাল মামলায় এফআইআর বা রায় পুনর্বিবেচনা নিষ্প্রয়োজন।’ স্বভাবতই রাফাল মামলা সংক্রান্ত সুপ্রিম রায়ে কেন্দ্রের স্বস্তি মিলল।
অন্যদিকে রাফাল মামলা খারিজ হওয়ায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল বিরোধীরা। এতবড় ধাক্কা সামলাতে সময়ই লাগবে। মূলত দ্যাসল্ট অ্যাভিয়েশন থেকে ৩৬টি যুদ্ধ বিমান কেনা নিয়েই যত গোলমাল ও দুর্নীতির অভিযোগ। এই অভিযোগে শুধে বিজেপি সরকার নয় দেশের বিশিষ্ট উদ্যোগপতি অনিল আম্বানিকেও তুলোধনা করতে ছাড়েনি বিরোধী কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধী। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী প্রচারে মূলত রাফাল কেলেঙ্কারিকেই ইস্যু করেছিলেন রাহুল। সেই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ওই চুক্তি মারফৎ শিল্পপতি অনিল আম্বানিকে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছিল মোদি সরকার। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট তাদের রায়ে জানায় রাফাল সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় রায় সমস্ত রকম দুর্নীতির ঊর্ধ্বে। তারপরেও রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবি ওঠে। এদিনও রাফাল রায়ে কেন্দ্রের পাল্লাই ভারী রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। রাফাল নিয়ে এই সুপ্রিম ধাক্কা যে কংগ্রেসের বিজেপি বিরোধী পালের হাওয়া কেড়ে নিল তাতে সন্দেহ নেই। তবে এনিয়ে এখনও টুঁ শব্দটি করেনি কংগ্রেস। আরও পড়ুন-Sabarimala Review Plea Verdict:ফের অমীমাংসিত শবরিমালায় মহিলাদের প্রবেশের রায়, সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলা পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য, রাফাল চুক্তিতে যে কোনও অনিয়ম হয়নি তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গত বছরই রায় দিয়েছিল। কিন্তু সেই রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্য লোকসভা ভোটের আগে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান বিজেপি-রই দুই বিক্ষুব্ধ নেতা যশবন্ত সিনহা ও অরুণ শৌরি। সেই সঙ্গে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। তাঁদের বক্তব্য ছিল, ৩৬ টি রাফাল জেট কেনার ক্ষেত্রে যে কোনও অনিয়ম হয়নি বা তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। সে জন্যই সুপ্রিম কোর্টের উচিত তা ফের খতিয়ে দেখা। ওই মামলার শুনানির পর গত ১০ মে রায়দান স্থগিত রেখেছিল সুপ্রিম কোর্ট।