Subramanian Swamy Letter To Narendra Modi: জাতীয় সংগীত বদল করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি সুব্রমনিয়ান স্বামীর
সুব্রমনিয়ান স্বামীর ফাইল ছবি (Photo Credits: ANI)

নতুন দিল্লি, ২ ডিসেম্বর: দেশের জাতীয় সংগীত (National Anthem) বদল করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রমনিয়ান স্বামী (Subramanian Swamy )। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'জন গণ মন' (Jana Gana Mana) সংস্করণটির পরিবর্তে ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর (Subhash Chandra Bose) ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (Indian National Army ) রচিত গানটি জাতীয় সংগীত করার অনুরোধ করেছেন। বিজেপি সাংসদ দাবি করেছেন যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সংগীতে ব্যবহৃত শব্দগুলি কাকে সম্বোধন করেছে তা নিয়ে অযথা সন্দেহ জাগিয়ে তোলে। তিনি আরও দাবি করেছেন যে ১৯৪৭ সালের পরে বর্তমান জাতীয় সংগীত দেশের জন্য অনুপযুক্ত। উদাহরণ হিসেবে স্বামী বলেছেন যে জাতীয় সংগীতে 'সিন্ধু' উল্লেখটি তুলে ধরা হয়েছে, যা এখন ভারতীয় ভূখণ্ডের অংশ নয়।

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বিজেপি সাংসদ লিখেছেন, "ভারতের যুবকদের সংখ্যাগরিষ্ঠদেরও দাবি, জাতীয় সংগীত 'জন গণ মন'-র কয়েকটি শব্দকে আইএনএ দ্বারা রচিত ও গানে থাকা শব্দ দিয়ে পরিবর্তন করা উচিত। ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর সুভাষচন্দ্র বসু মণিপুরের ইম্ফল দখল করার পরে ভারতের স্বাধীনতার ঘোষণার অনুষ্ঠানে এই গানটি গাওয়া হয়।" আরও পড়ুন: NGT Extends Ban On Firecrackers: বাজি বিক্রি ও পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা বাড়াল পরিবেশ আদালত

স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদের কথায় পুনরাবৃত্তি করে সুব্রমনিয়ান স্বামী প্রধানমন্ত্রীকে ২২ জানুয়ারির আগে জাতীয় সংগীত বদলের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলেন। স্বামী উল্লেখ করেছেন যে, ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর গণপরিষদে রাজেন্দ্র প্রসাদ তাঁর বক্তব্যে বলেছিলেন যে 'জন গণ মন' শব্দগুলিতে ভবিষ্যতে অন্যান্য 'উপযুক্ত শব্দ' দিয়ে সংশোধন বা প্রতিস্থাপন করা যেতে পারে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জন গণ মন প্রথম ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের কলকাতা অধিবেশনে গাওয়া হয়। এটি ব্যাপকভাবে বিশ্বাস করা হয় যে 'জাতীয় সুখ চ্যান' নামে পরিচিত আইএনএ দ্বারা গাওয়া জন গণ মন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত ভারত ভাগ্য বিধাতার একটি রূপান্তর ছিল। গানটির অনুবাদ করেছিলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, সুর দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন রাম সিং।

এটি মনে করা গুরুত্বপূর্ণ যে এই প্রথমবার নয় যখন জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি উত্থাপিত হয়েছিল। ২০১৯ সালে, কংগ্রেস সাংসদ রিপুন বোরা রাজ্যসভায় একটি প্রাইভেট বিল উত্থাপন করেছিলেন। জাতীয় সংগীতে যাতে উত্তর-পূর্বের বর্ণনা ঢোকানো হয় এবং সিন্ধু উল্লেখ সরিয়ে দেওয়া হয়, তার দাবি জানান সংসাদ। একইভাবে ২০১৬ সালে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরবিন্দ সাওয়ান্তও জাতীয় সংগীত থেকে 'সিন্ধ' অপসারণের আবেদন করেছিলেন। এই দাবির ফলস্বরূপ, ভারতের সিন্ধি সম্প্রদায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছিল যে সিন্ধ প্রতিবেশী দেশের অংশ হলেও এই সম্প্রদায়টি পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেকে জড়িত করে না।