নয়াদিল্লি, ২২ সেপ্টেম্বর: দাউদাউ করে জ্বলছে উত্তর ভারতের ক্ষেত-জমি, নাসা (ন্যাশনাল এরোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন)-র (NASA) পর্দায় ভেসে উঠল সেই ছবি। চাষের পর ক্ষেতের মধ্যে পড়ে থাকা উচ্ছিস্ট ফসল পরিষ্কার করতে বিঘার পর বিঘা জমিতে আগুন (Stubble Burning) ধরিয়ে দেন কৃষকেরা। দেশের উত্তর ভারত, বিশেষত পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় এই ছবি দেখা যায়; নাসার ফায়ার ইনফরমেশন ফর দ্য রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (FIRMS)-এ ধরা পড়ল সেই ছবি। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই সমস্ত এলাকায় ক্ষেতের উচ্ছিষ্ট ফসল এবং খড় পোড়ানোর কাজ শুরু করেছেন চাষীরা, এর জেরে বাড়ছে বায়ুদূষণের (Air Pollution) মাত্রা।
প্রতি বছরই এই সময়ে দিল্লি দূষণের খবর ফঠে আসে সংবাদ শিরোনামে। আর এই দূষণের অন্যতম কারণ পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় ক্ষেতের জমির খড় পোড়ানো। "অন্য বছরের মত এবছরও পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতে ক্ষেতজমিতে খড় পোড়ানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর জেরে বায়ুদূষণের মাত্রা ঠিক কতটা পরিমাণে বৃদ্ধি পায়, তা আমরা উপগ্রহ চিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করব। পাশাপাশি এয়ার কোয়ালিটি ডেটা সমীক্ষা করে পরিবেশের উপর যে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে, সেটাও তুলে ধরা হবে।" হিন্দুস্থান টাইমসে সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষক পবন গুপ্তা।
হরিয়ানা, পাঞ্জাব-সহ উত্তর ভারতের একাধিক জায়গায় ফসল কাটার পরে পড়ে থাকা খড় সাফ করার উদ্দেশ্যে পোড়ানো হয় এগুলোকে, আর সেই ছবিই ফুটে উঠেছে স্যাটেলাইটের চিত্রে। ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অমৃতসরের পঞ্জাবে সবচেয়ে বেশি খড় পোড়ানোর ছবি স্যাটেলাইটে বন্দি হয়েছে। অমৃতসর ছাড়াও তরন তরন, ফিরোজপুর এবং কাপুরথালা, মানসা এবং জলন্ধরের বেশ কিছু অংশেও ক্ষেতজমির অবশিষ্টাংশ পোড়ানোর ছবি স্যাটেলাইটে ধরা পড়েছে। হরিয়ানা কৃষি দফতরের তরফে ক্ষেতজমির প্রেক্ষিতে এলাকাগুলিকে লাল, হলুদ/কমলা এবং সবুজ জোনে ভাগ করে দেওয়া হয়। হরিয়ানার ফতেবাদ এবং আম্বালাতেও খড় পোড়ানোর ছবি ধরা পড়েছে স্যাটেলাইটে।