Kashmir: বর্ষার মরশুমের কারণেই এলপিজি সিলিন্ডার মজুত হচ্ছে, গুজব রুখতে বলল জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন
এবার পর্যটকরা ফের কাশ্মীরে যেতে পারবেন। (Photo Credits: IANS)

শ্রীনগর, ২৯ জুন: আগামী দু’মাসের জন্য খাবার, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী, গ্যাস সিলিন্ডার মজুতের (Stock LPG Cylinders) নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন। শুধু সাধারণ বাসিন্দাদের উদ্দেশ্যেই নয়, রান্নার গ্যাসের সংস্থা এলপিজি-র কাছেও গিয়েছে এই নির্দেশিকা। এমন খবরে স্বভাবতই শঙ্কায় গোটা উপত্যকা। তবে কী সেখানে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হল? এদিকে এতসব কেন মজুত করা হচ্ছে তা স্পষ্ট করে জানতে চেয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। এরপরেই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, রান্নার গ্যাস মজুত করার নেপথ্যে রয়েছে বর্ষার মরশুম। আগামী দু’মাসে বৃষ্টিতে ভিজবে সমগ্র উপত্যকায সেই সময় জনজীবন স্বাভাবিক রাখতেই প্রশাসনের তরফে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই প্রসঙ্গে কাশ্মীর প্রশাসনের এক কর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, আমরা জানি প্রতি বর্ষায় রামবান জওহর সুড়ঙ্গেরকাছে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কী দুর্দশা হয়। বর্ষার সময়ে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই উপত্যকায় আগেভাগে খাবার রান্নার গ্যাস মজুতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই কাশ্মীরে এক মাসের খাবার, মজুত হয়ে গেছে। এলপিজি-কেও অনুরোধ করেছি যাতে তিন মাসের রান্নার গ্যাস মজুত করে ফেলে। কারণ ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে ধ্বস নেমে জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে কোনওভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী উপত্যকায় ঢুকবে না। তখন বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে পারে। সেই পরিস্থিতি রুখতেই এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কিছু মানুষ গুজব ছড়াতে শুরু করেছে। আরও পড়ুন-COVID-19 Cases In California: আমেরিকায় সর্বাধিক সংক্রমণ, ফের সাতটি দেশে লকডাউন জারি করল ক্যালিফোর্নিয়া

অন্যদিকে গান্ডেরওয়াল পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, কার্গিল সীমান্তের এই এলাকার ১৬টি স্কুল-কলেজ নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যবহারের জন্য খালি করতে হবে। এহেন জোড়া নির্দেশেই উপত্যকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে দাবি করেন ওমর আবদুল্লা। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশিকাই সমগ্র কাশ্মীজুড়ে আতঙ্কের জন্ম দিয়েছে। কারণ গত বছরও দুর্ভাগ্যজনকভাবে প্রচুর মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। তাই এই সব নির্দেশিকার কারণ খোলসা করা হোক, এমনটাই চাইছে সাধারণ মানুষ। গত বছর আগস্টে কেন্দ্র কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা ও ৩৫-এর এ ধারা তুলে নেয়। খর্ব করা হয় বিশেষ অধিকার। এই প্রসঙ্গ টেনেই উদাহরণ দেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।