নয়াদিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর: সোনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi)র নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের দরবারে পৌঁছলেন বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(Citizen Amendment Act) প্রত্যাহারের দাবিতে রাষ্ট্রপতির কাছে আর্জি জানাল বিরোধী দলগুলি। মঙ্গলবার বিকেলে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছায় এই দলটি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে জ্বলছে গোটা দেশ। জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়(Jamia Millia Islamia Students Protest)র পড়ুয়াদের উপর পুলিশের হামলা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা বক্তব্য পেশ করেন। প্রতিনিধি দলের তরফে রাষ্ট্রপতি(Ramnath Kovind)র উদ্দেশে এই আইন প্রত্যাহারের দাবি জানায়। কারণ এখনই তা তুলে না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করেছেন বিরোধী শিবিরের প্রতিনিধি দল।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদের জেরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে রণক্ষেত্র পরিবেশ তৈরি হয় জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। একাধিক পড়ুয়া এবং পুলিশ গুরুতর আহত হন। এছাড়াও ১০জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সবমিলিয়ে গত সোমবারই দেশের পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিরোধী দলের নেতারা। এরপর আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার কপিল সিব্বল, একে অ্যান্টনি, গুলাম নবি আজাদ, তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও ব্রায়ান, সিপিআই-র ডি রাজা এবং সিপিআইএমের সীতারাম ইয়েচুরি-সহ একাধিক নেতা নেত্রীরা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে এই আইন প্রত্যাহারের দাবি জানান।আরও পড়ুন: Oscars 2020 Shortlists: অস্কারের দৌড় থেকে ছিটকে গেল 'গালি বয়'
Delhi: Opposition party leaders, led by Congress interim president Sonia Gandhi, met President Ram Nath Kovind today over Jamia Millia Islamia incident. pic.twitter.com/kxLle0jFjJ
— ANI (@ANI) December 17, 2019
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে বেরিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সোনিয়া গান্ধী। পাশাপাশি, এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আকার নিতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন সোনিয়া। পাশাপাশি মোদি সরকারের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে সোনিয়া বলেন, 'জামিয়ার ঘটনা আমাদের কারোওর অজানা নয়। মহিলাদের হস্টেলে পুলিশ ঢুকে হামলা চালিয়েছে। আন্দোলন করা সকলের গণতান্ত্রিক অধিকার। প্রতিবাদী মানুষের মুখ বন্ধ করার জন্য যেকোনও সীমা লঙ্ঘন করতে পারে মোদি সরকার।'