লখনউ, ২০ ডিসেম্বর: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে (Citizenship Act ) কেন্দ্র করে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) জুড়ে ছড়িয়ে পড়া হিংসায় ৫ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। তবে, উত্তরপ্রদেশের পুলিশের ডিজিপি ওপি সিং (OP Sing) জানান, গোটা রাজ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশের গুলিতে কারোর মৃত্যু হয়নি। তিনি বলেন, "আমরা একটি গুলিও চালাইনি। কমপক্ষে ৫০ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন।" পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বিজনরে দু'জন বিক্ষোভকারী এবং সামভাল, ফিরোজাবাদ, মেরঠে একজন মারা গেছেন। সরকারের এক আধিকারিক বলেন, "আমরা কারোর উপরে গুলি চালাইনি। যদি কোনও গুলি চালানো হয়, তবে তা প্রতিবাদকারীদের পক্ষ থেকে হয়েছিল।"
শুক্রবার নামাজের পরে রাজ্যের ১৩টি জেলা জুড়ে এই নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৪৪ ধারা অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায়। পুলিশের বাধার মুখে পড়ে কয়েকটি জায়গায় পাথর ছোড়ে বিক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ শুরু করে এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে। আর এরই মধ্যে সবচয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনাটি কানপুরে। সারা রাজ্যে মোট ৮ জন গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা গেছে। পরে পুলিশ জানিয়েছে, হিংসার কারণে ৫ জনের মৃত্যু হয়। আরও পড়ুন: Karnataka BJP Minister C T Ravi: 'সংখ্যাগুরুরা ধৈর্য হারালে গোধরার মতো পরিস্থিতি হবে', CAA নিয়ে বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি কর্নাটকের মন্ত্রীর
Uttar Pradesh government's Additional Chief Secretary, Awanish Kumar Awasthi: 5 people died today in the violence during protests against #CitizenshipAmendmentAct, across the state. (file pic) pic.twitter.com/ZryS0VaZ02
— ANI UP (@ANINewsUP) December 20, 2019
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা ক্রমেই সীমানা ছাড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার কর্নাটকে দুজন ও লখনউতে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। আর শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবারই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিক্ষোভকারীদের বুঝে নেবে তার প্রশাসন। অভিযুক্তদের সম্পত্তি বেচে সরকারি সম্পত্তির হিসেব নেওয়া হবে।