Devendra Fadnavis (Photo Credts: Facebook)

মুম্বই, ২ ডিসেম্বর: এনডিএ-র বড় জয়ের পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসতে চলেছেন কোনও বিজেপি নেতা। আর দলীয় নিয়ম মেনে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হল গুজরটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ-কে। কোন রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর বিজেপির নিয়ম হল, দুই বা তিন সদস্যের কেন্দ্রীয় পর্যবক্ষেক কমিটি নির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার পর পরিষদীয় দলনেতা বেছে নেন। তিনিই হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সাম্প্রতিকালে সব কটা রাজ্যের নির্বাচনে বিজেপির জয়ের পরেই তেমন হয়েছে। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra Assembly election 2024) সেই দায়িত্ব পড়ল নির্মলা সীতারমণ ও বিজয় রুপানি-র ওপর।

মহারাষ্ট্রের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বাছতে কেন্দ্রীয় পর্যবক্ষেক হিসেবে নির্মলা সীতারমণ ও বিজয় রুপানির কাজটা তেমন কঠিন হবে না। একনাথ শিন্ডে নি:শর্ত সমর্থন দেওযার পর মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়করা দেবেন্দ্র ফড়নবীস-কেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন জানিয়েছেন। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ-ও তেমনই চেয়েছেন। আর তাই তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়া দেবেন্দ্র ফড়নবীসের শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আগামী বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে শপথ নেবেন ফড়নবীস। শরদ পাওয়ারের পর দ্বিতীয় মারাঠা রাজনীতিবিদ হিসেবে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নাগপুরের নেতা দেবেন্দ্র।

২০১৪ থেকে ২০১৯ পাঁচ বছর মহাারষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবীস। এরপর ২০১৯ নির্বাচনে ত্রিশঙ্কুর ফলের পর নভেম্বরে পাঁচ দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেন দেবেন্দ্র। এরপর উদ্ভব ঠাকরের সরকারের বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দলনেতা। তারপর শিবসেনার ভাঙনের পর একনাথ শিন্ডের সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ করেন দেবেন্দ্র। আর এবার ফড়নবিসের ডেপুটি হিসেবে থাকবেন একনাথ শিন্ডে ও অজিত পাওয়ার।

২৮৯ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপির ১৩২, শিবসেনা (একনাথ শিন্ডে)-র ৫৭ ও এনসিপি (অজিত পাওয়ার)-র ৪১ জন বিধায়ক আছে। সেখানে বিরোধীদের জোট মিলিয়ে মোট ৪৬টি আসন আছে। শিবসেনা (উদ্ধভ ঠাকরে) ২০, কংগ্রেস ১৬ ও এনসিপি (শরদ পাওয়ার) ১০টি আসন আছে।