সাংসদ পদ হারালেন দেশের অঘোষিত প্রধান বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য ২ বছরের জেলের সাজা হয়। ফলে লোকসভার সচিবালয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাহুলের সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়া হল। আমেথিতে সুষমা স্বরাজের কাছে হারলেও কেরলের ওয়ানড় লোকসভা থেকে রেকর্ড ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন রাহুল। লোকসভা নির্বাচনের বছরখানেক আগে এমপি পদ খোয়ালেন কংগ্রেসের পোস্টার বয়।
২০১৯ সালে মোদী পদবী নিয়ে বক্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ২ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। যদিও সুরাট আদালতের ওই রায়ের পর জামিনের আবেদন করেন রাহুল গান্ধী। মোদী পদবী মামলায় বৃহস্পতিবার জামিন নিয়ে তবেই দিল্লিতে ফেরেন কংগ্রেস সাসংদ। বৃহস্পতিবারের ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এবার রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হয়। যা নিয়ে ফের তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ, কে কী বললেন
মল্লিকার্জন খাড়গে (জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি): রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের সব চেষ্টাই করে গিয়েছে বিজেপি। ওরা চাই না সত্যি বলা কাউকে রাখতে চায় না। তবু আমরা সত্যি বলে যাবো। আমরা আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবিতে সরব থাকবই। এতে যদি আমাদের জেলে যেতে হয় যাবো। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সব কিছু করতে আমরা প্রস্তুত।"
অনুরাগ ঠাকুর ( কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, বিজেপি নেতা): ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি মামলায় রাহুল গান্ধী জামিনে ছাড়া পেয়ে আছেন...ওর স্বভাব আছে লোকসভায় সত্যি থেকে অনেক দূরের কথা বলার। আমার মনে হয় রাহুল গান্ধী বিশ্বাস করেন তিনি সংসদ, আইন, দেশের উর্ধ্বে। কারণ উনি গান্ধী পরিবারের সদস্য।
জয়রাম নরেশ (কংগ্রেসের সাধারণ সচিব): আমরা এই ইস্যুতে আইনত এবং রাজনৈতিকভাবে লড়াই করব। আমরা চুপ থাকব না। আদানির মহা মেগা দুর্নীতিতে রাহুল সরব হওয়ায় ওকে এভাবে ঘুরপথে সরিয়ে দেওয়া হল। ভারতীয় গণতন্ত্র ওম শান্তিতে চলে গিয়েছে।"