৭ মে,২০১৯: শ্রীরামপুরে সভা করতে এসে বিস্ফোরক দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)। তিনি বলেছেন, ‘‌তাঁর সঙ্গে অনেক তৃণমূল (TMC)বিধায়ক যোগাযোগ করছেন। ২৩ মে–র পর ৪০ জন বিধায়ক তৃণমূল ছাড়বেন।’ মোদির এই দাবি ঘিরে তোলপাড় বাংলার (Bengal)রাজনৈতিক মহল। তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেছেন ভোটের মাঝে দলের বিধায়কদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই একথা বলছেন মোদি। যদিও মোদির এই দাবি একেবারেই ভুয়ো। সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার চমক মাত্র বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

সারদাকণ্ডের পর বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়(Mukul Roy)। মুকুলের এই পদক্ষেপে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল। সেকারণে বারবার মুকুলকে বিশ্বাসঘাতক বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সেই দলভেদী মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ এবং এক বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সব্যসাচীকেও (Sabyasachi)ভাঙানোর চেষ্টা চলছে। সে চেষ্টায় কিছুটা হলেও সফল হয়েছেন মুকুল রায়। পদ্মবনে জোড়া ফুলের যোদ্ধাদের টানতে দলভেদী মুকুল কোনও কসুর করছেন না। তাহলে কী রাজ্যে বিজেপির সংগঠন মজবুত করার থেকে তৃণমূলের নেতাদের ভাঙানোই মূল স্ট্যাটেজি হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির। কারণ রাজ্যে দলবদলুদের প্রার্থী করেই ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছেন মোদি অমিত শাহরা(Amit Shah)। এর বাইরে প্রার্থী করার মতো কোনও নেতা বিজেপি(BJP) পায়নি। সেকারণেই বারবার তারিখ দিয়েও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে দেরি হয়েছে অমিত শাহদের।

যাঁদের তৃণমূল থেকে ভাঙাতে পেরেছেন তাঁদের মধ্যে একমাত্র প্রভাবশালী বলতে গেলে ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। যার নিজস্ব অনুগামী রয়েছে। তবে অর্জুনকে (Arjun Sing)কতদিন ধরে রাখতে পারবেন মুকুল সেটা বড় প্রশ্ন। কারণ কয়েকদিন আগেই তৃণমূল নেত্রী বলেছেন, শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা, যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন তাঁরা আবার দলে ফিরতে চাইবেন।

মোদির এই বিস্ফোরক দাবি সত্যতা যে কতটা সেটা বলাই বাহুল্য। কারণ বরাবরই মোদি প্রতিশ্রুতির চমক দিয়ে ভোট ব্যাঙ্ক ভারি করতে চেয়েছেন। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে এই প্রতিশ্রুতির চমকেই ক্লিন সুইফ্ট পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু গত পাঁচ বছরে মোদির সেই সত্যিটা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। তাই এই ৪০ বিধায়কের তত্ব নিয়েও তাই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। ‌