নতুন দিল্লি, ১৪ নভেম্বর: রাফাল দুর্নীতি নিয়ে কংগ্রেসের হাহুতাশ অবস্থাকে একেবারে চুপ করিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালত নাকি রাফাল কেলেঙ্কারির মামলায় কেন্দ্রে বিজেপি সরকারকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) এমন মন্তব্য করতেও ছাড়েননি। বৃহস্পতিবার মামলার পুনর্বিবেচনার শুনানিতে প্রকারান্তরে রাহুল গান্ধীকেই সতর্ক করল তিন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাফাল কেলঙ্কারি মামলা এদিন খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত, একই সঙ্গে রাহুলকে ভেবেচিন্তে মন্তব্য করার পরামর্শও দেওয়া হয়। এরপরেই মুখ খোলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ (Union Law Minister Ravi Shankar Prasad)। তিনি বলেন, “দেশবাসীর কাছে রাহুলের এবার ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় রাফাল কেলেঙ্কারিকে ইস্যু করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র কটাক্ষ বাণে বিদ্ধ করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ‘চোর’ বলতেও ছাড়েননি। গত ১০ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট সেই আপত্তি নাকচ করে দেয়। তখন রাহুল বলেন শীর্ষ আদালত মেনে নিয়েছে, চৌকিদার চোর হ্যায়। পরে তিনি আদালতে নিঃশর্তে ক্ষমা চান। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্যের পরেই ওই কথা বলা তাঁর উচিত হয়নি। এদিন সুপ্রিম কোর্টের সতর্ক করাকে রাহুলের বিরুদ্ধে নতুন হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়ল বিজেপি। কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল, রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বন্ধু তথা শিল্পপতি অনিল আম্বানিকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। মোদি নিজেকে জনগণের চৌকিদার বলতেন। রাহুল একসময় বলেন, সুপ্রিম কোর্টও মেনে নিয়েছে, চৌকিদার চোর হ্যায়। এই মন্তব্যের পর রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষী লেখি। সেই মামলা বৃহস্পতিবার বন্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট। আরও পড়ুন- Rafale Review Plea Verdict: রাফাল মামলার সিবিআই তদন্ত নিষ্প্রয়োজন, সুপ্রিম রায়ে বিরাট ধাক্কায় কংগ্রেস
এদিন রাফাল মামলায় ইতি পড়তেই আসরে নামেন রবিশংকর আরও বলেন, “রাহুল গান্ধী এখন আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিত। আজও রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত রায় নিয়ে পর্যালোচনার আবেদনটি নাকচ হয়ে গেছে। আপনি আদালত থেকে নিজেকে বাঁচাতে ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু আপনি কি ভারতের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে পারবেন?”