Jharkhand Assembly Election Results 2019 Latest Trends: ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের ফলাফলে এখনও পর্যন্ত এগিয়ে জোট, ধুঁকছে গেরুয়া শিবির
প্রতীকী ছবি (Photo Credit: Latestly.com)

রাঁচি, ২৩ ডিসেম্বর: ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বুথফেরত সমীক্ষাগুলির বেশিরভাগই এ বার বিজেপির থেকে কংগ্রেস, জেএমএম এবং আরজেডি-র জোটকেই এগিয়ে রেখেছে। এর আগে, শিবসেনার সঙ্গে জোট ভেঙে যাওয়ায় মহারাষ্ট্র হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। বেলা বাড়তেই রাজ্যজুড়ে বিজেপি বিরোধী হাওয়া প্রবল হতে শুরু করেছে। এইমুহূর্তে বেশ কয়েকটি আসনে এগিয়ে রয়েছেন জোট প্রার্থীরা। ওই রাজ্যে বিধানসভায় মোট আসন ৮১টি। সরকার গড়তে প্রয়োজন ৪১। এখনও পর্যন্ত গণনায় বিরোধী জোটের পাল্লা ভারী। তবে ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এদিকে জামশেদপুর পূর্ব কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী সরযূ রায়ের থেকে এগিয়ে রঘুবর দাস। শিকারী পাড়ায় এগিয়ে আছেন জেএমএম প্রার্থী নলিন সোরেন।

অন্যদিকে বারহাইত কেন্দ্রে এগিয়ে থাকলেও হেমন্ত সোরেন দুমকায় পিছিয়ে পড়েছেন। পালামৌ ও খুন্তিতে এগিয়ে বিজেপি। বোকারো কেন্দ্রে এগিয়ে কংগ্রেস আবার গোমিয়াতে এগিয়ে রয়েছে আজসু। রাঁচিতে এগিয়ে BJP-র সি পি সিং। ধানওয়ার আসনে পিছিয়ে JVM (P)-এর বাবুলাল মারান্ডি। ছাত্রা আসনে এগিয়ে JVM প্রার্থী তিলেশ্বর রাম। রাঁচিতে কংগ্রেস জোটের সমর্থনে পোস্টার পড়েছে। খবর পেয়েই পরিস্থিতি বিবেচনা করে অমিত শাহের নির্দেশে তড়িঘড়ি রাঁচির উদ্দেশে রওনা দিলেন ঝাড়খণ্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত BJP নেতা ওম মাথুর। দেশজুড়ে CAA-বিরোধী উত্তাপের মধ্যে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন মহারাষ্ট্রের পর কি এবার ঝাড়খণ্ডও মোদি-শাহের হাতছাড়া হতে চলেছে? গেরুয়া শিবির যদিও যাবতীয় সমীক্ষার ফলাফলকে ভুল প্রমাণ করে ক্ষমতায় ফেরা নিয়ে নিশ্চিত। দ্বিতীয়বারের জন্য কি মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রঘুবর দাস? সবমিলিয়ে সারা দেশের নজর আজ ঝাড়খণ্ডের দিকে। আরও পড়ুন-Counting Of Votes For Jharkhand Assembly Polls Begin: শেষ হাসি হাসবে কে ? ঝাড়খণ্ডে ভোট গণনা শুরুতেই এগিয়ে বিরোধী জোট, আশায় জাগছে বিজেপি

যদিও ফলাফল ত্রিশঙ্কুর দিকে গেলে ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে বাবুলাল মারান্ডির দল ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা (জেভিএম)। বাবুলাল ঝাড়খণ্ডের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। ২০০০ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত তিনি বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৬ সালে বিজেপি ছেড়ে নতুন দল গড়েন। ২০১৪-র বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর দল আটটি আসন পেয়েছিল। কিন্তু ভোটের ফল বেরোনোর মাসখানেকের মধ্যেই, ছয় জেভিএম বিধায়ক দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়ে দেন। তবে বাবুলাল মারান্ডি সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, “আশা মতো ফলাফল হয়নি। মানুষ যে ভূমিকায় দেখতে চাইবে। সেই বিরোধী ভূমিকাতেই থাকব।”