প্রতীকী ছবি (Photo Credit: Latestly.com)

রাঁচি, ২৩ ডিসেম্বর: আজ ২৩ তারিখ সোমবার ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচনের ফল (JharkhandAssemblyPolls) প্রকাশ হবে। ইতিমধ্যেই ভোটগণনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সন্ধের মধ্যে বোঝা যাবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-আরজেডি-কংগ্রেস জোট নাকি বিজেপি, কারা ক্ষমতায় আসছে। দুই শিবিরই যদিও লাড্ডু আর আবীরের বন্দোবস্ত করে রেখেছে বলে খবর। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস ও আরজেডির জোটকে এগিয়ে রেখেছে একাধিক বুথ-ফেরত সমীক্ষা। আশায় বুক বেঁধেছে বিরোধী দল। যদিও জেতার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, চলতি বছরে লোকসভা ভোটের সময়েও বিরোধী শিবির বলেছিল রাজ্যে বিজেপির অবস্থা শোচনীয়। ভোটের ফল বেরোলে দেখা গেল, ঝাড়খণ্ডের মানুষ বিজেপিতেই ভরসা রেখেছেন।

তাই না আঁচালে এখনও বিশ্বাস নেই। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টাতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে রঘুবর দাসের নেতৃত্বে বিজেপি ফের আসছে ঝাড়খণ্ডে, না কি হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বে বিরোধী জোট ক্ষমতা দখল করছে। এদিকে ঝাড়খণ্ডে বিজেপি একা লড়েছে। দলেরই অনেক নেতা রঘুবরকে পছন্দ করেন না। যার প্রভাব পড়তে পারে ইভিএমে। বেশ কয়েক জন বিজেপি নেতা টিকিট না-পাওয়ায় অসন্তোষও রয়েছে দলে। ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন বা আজসু পার্টির সঙ্গে বিজেপির জোট ভাঙার জন্য রঘুবরকেই দায়ী করছেন অনেকে। তাঁদের মতে, এ বার আজসু যদি চার-পাঁচটা আসন পায়, তবে তা বিরোধীদের ঝুলিতেই যাবে। যদিও ভাঙবে তবু মচকাবে না দশা বিজেপির। তবে সূত্রের খবর, জেতার ব্যপারে আত্মবিশ্বাসী দুই পক্ষই রাঁচির বিভিন্ন দোকানে ফুলের মালা ও প্রচুর লাড্ডুর অর্ডার দিয়ে রেখেছে। বিজেপি গেরুয়া ও কংগ্রেস সবুজ আবিরেরও অর্ডার দিয়ে রাখা হয়েছে। আরও পড়ুন-Narendra Modi On Mamata Banerjee: 'দিদি আপনি কেন ভয় পাচ্ছেন?' রামলীলার সভায় মমতা ব্যানার্জিকে খোঁচা নরেন্দ্র মোদির

গত এক বছরে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কোণঠাসা হয়ে পড়েছে বিজেপি। হাতছাড়া হয়েছে রাজস্থান, ছত্তীসগড়, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র। হরিয়ানায় কোনও ক্রমে ক্ষমতা ধরে রেখেছে গেরুয়া শিবির। এরকম এক অবস্থায় ঝাড়খণ্ডের ফলাফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কাশ্মীরের ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি, বালাকোট অভিযান ও অযোধ্যায় চার মাসের মধ্যে আকাশছোঁয়া রামমন্দির গড়ার প্রতিশ্রুতি কতটা কাজে আসবে তা নিয়ে ধন্দে শাসক শিবির। কেননা গোদের উপরে বিষ ফোঁড়ার মতো জ্বালাচ্ছে এনআরসি ও সিএএ-র গেরো।সারা দেশ জ্বলছে। পুলিশের গুলিতে এখনও পর্যন্ত ১২জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। এর প্রভাব ভোটবাক্সে পড়লে গেরুয়া শিবিরের শিরে সংক্রান্তি কেউ আটকাতে পারবে না।