উদ্ধব ঠাকরে (Photo Credit: Twitter)

মুম্বই, ২৭ নভেম্বর: মহারাষ্ট্রের আগামী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। আগামিকাল বৃহস্পতিবার শিবাজি পার্কে সন্ধ্যা ৬.৪০ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়ায় আলোকিত হতে চলেছে শিবাজি পার্ক। সেখানে জোট শরিক এনসিপি ও কংগ্রেস নেতৃত্ব, বিধায়করা হাজির থাকবেন। এদিন এনসিপি লেজিসলেটিভ প্রধান জয়ন্ত পাটিল মুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য উদ্ধব ঠাকরের নাম প্রস্তাব করেন। কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি বালাসাহেব থোরাট সেই প্রস্তাব সমর্থন করলে সমস্ত বিধায়কদের ধ্বনি ভোটে তা পাস হয়ে যায়। এককথায় মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আগাধির নেতা হিসেবে উদ্ধব ঠাকরেকে মেনে নেয় জোট। এরপরেই মুখ খোলেন উদ্ধব ঠাকরে, বলেন আমরা জোটবদ্ধভাবেই মহারাষ্ট্রের কৃষকদের চোখের জল মুছিয়ে দেব।

গোটা ঘটনায় বিজেপিকে একহাত নিতে ছাড়েননি শিবসেনা প্রধান। দেবেন্দ্র ফডনবিশের নাম না করেও তিনি বলেন, আমি কোনও কিছুতেই আতঙ্কিত নই। মিথ্যাচার হিন্দুত্বের অংশ হতে পারে না। যখন তোমার প্রয়োজন পড়বে তখন আমাদের আলিঙ্গন করবে। যখন পড়বে না তখন ছেড়ে যাবে। আমাদের তো দূরে রাখার পরিকল্পনাটি ভালই ছকেছিলেন। জোটের প্রতিনিধিরা মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের বিষয়টি জানান। উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদের জন্য থাকছেন কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরাট ও এনসিপির জয়ন্ত পাটিল। এরপরই রাত দশটা নাগাদ রাজ্যপালের কাছে সরকার গড়ার দাবি জানানো হয়। আরও পড়ুন-Devendra Fadnavis Hits Out At Shiv Sena: শিবসেনা ক্ষমতা লোভী, পদত্যাগ করেই প্রাক্তন জোট শরিকের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ

এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রে বিজেপির দর্প একেবারে চূর্ণ হয়ে গেল। হরিয়ানা, মণিপুর ও গোয়াতে মহারাষ্ট্রের কায়দাতেই সরকার গড়েছিল বিজেপি। নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নেড়েছিলেন অমিত শাহ। সেখানে চাণক্যর বুদ্ধি কাজে লাগলেও এখানে গোড়াতেই একটু ভুল হয়ে গিয়েছে। ৭৯ বছরের শরদ পাওয়ারকে দুর্বল ভেবেছিলেন অমিত শাহ। শুক্রবার মধ্যরাতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে বিজেপি মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা দখল করলেও হাল ছাড়েননি এনসিপি প্রধান। কংগ্রেস ও শিবসেনাকে বুঝিয়ে ১৬২ জন বিধায়ককে একজোট করে গ্র্যান্ড হায়াতে রাখলেন। তখনই বিজেপি প্রমাদ গুনেছিল। তারপর মঙ্গলবার খফিনের শেষ পেরেকটা পুঁতে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ যে তাদের ফ্লোর টেস্ট। কজন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে আছে তা আস্থাভোটে প্রমাণ দিতে হবে। সেখানে কোনও ইভিএম চালাকি কাজ করবে না। সেই ভোটপর্ব সরাসরি সম্প্রচার হবে। দেশবাসীর কাছে আর হাস্যস্পদ হওয়ার সাহস ছিল না, এরপরেই রণে ভঙ্গ দেয় বিজেপি। ফডনবিশ ভেবেছিলেন, অজিত পাওয়ারকে কিনেছেন, বাকিদেরও কিনবেন, তবে ওই যে বললাম গোড়াতেই ভুল। সবাই কি আর টাকায় বিকিয়ে নীতিবিরুদ্ধ হয়?