
দিল্লি, ৩০ এপ্রিল: পহেলগামে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terrorist Attack) মাস্টারমাইন্ড হাসিম মুসাকে পাকড়াও করার জন্য জোর কদমে তল্লাশি শুরু হয়েছে। হাসিম মুসার খবর দিলে তাঁকে ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তানি লস্কর-ই-তইবা জঙ্গি হাসিম মুসার খোঁজে জম্মু কাশ্মীর কার্যত তন্ন তন্ন করে খোঁজা শুরু করেছে সেনা বাহিনী। হাসিম মুসাকে জীবিত পাকড়াও করতে চাইছে সেনা।
হাসিম মুসাকে (Hashim Musa) জীবিত পাকড়াও করলে বহু রহস্যের সমাধান হবে। পাশাপাশি পহেলগাম হামলায় যে পাকিস্তানের হাত রয়েছে, তা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হবে বলে মনে করছে ভারত। পাকিস্তানি সেনার প্যারা কমান্ডো থেকে সরে আসার পর হাসিম মুসা লস্কর-ই-তইবায় যোগ দেয়। এরপর লস্করের প্রশিক্ষণ নিয়ে পুরোপুরি জঙ্গি কমান্ডার হিসেবে সে আত্মপ্রকাশ করে। জানা যায়, লস্করে যোগ দেওয়ার পর ২০২৩ সালে হাসিম মুসা সীমান্ত পার করে ভারতে প্রবেশ করে। কাশ্মীরের বদগাম থেকে মুসা লস্করের সংগঠন চালাত। বদগামে থেকেই গগণগীরে হামলা চালায় মুসা। বারামুলায় সেনা বাহিনীর উপরও হামলা চালায় এই পাক জঙ্গি। যে ঘটনায় ২ জওয়ানের মৃত্যু হয়। এমন তথ্যও ভারতের হাতে এসেছে। ফলে মুসাকে যাতে জীবিত পাকড়াও করা যায়, সে বিষয়ে জোরদার কাজ শুরু করেছে সেনা বাহিনী।
প্রসঙ্গত ২০২৩ সালে ভারতে (India) আসার পর থেকে হাসিম মুসা পরপর ৬টি হামলা চালিয়েছে কাশ্মীরের (Jammu And Kashmir) বিভিন্ন জায়গায়।
পাকিস্তানি জঙ্গি হাসিম মুসা এই মুহুর্তে দক্ষিণ কাশ্মীরের কোনও জঙ্গলে লুকিয়ে রয়েছে। এমনই মনে করছে সেনা বাহিনী। দক্ষিণ কাশ্মীরের কোনও জঙ্গলই আপাতত হাসিম মুসার থাকার জায়গা। তবে নিরাপত্তার ফাঁক গলে মুসা পাকিস্তানে পালিয়ে যেতে পারে। এমন আশঙ্কা করছে সেনা বাহিনী। ফলে পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর প্রাক্তন প্যারা কমান্ডার মুসা যাতে কোনওভাবে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে যেতে না পারে, সেদিকে কড়া নজর রাখা হয়েছে সেনা বাহিনীর তরফে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগামের বৈসরণ ভ্যালিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। হাসিম মুসার নেতৃত্বে আলিয়াস ভাই আলি এবং আদিল ঠোকের নামে আরও ২ জঙ্গি নীরিহ পর্যটকদের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। যে ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেয়।