Mahmudullah Riyadh (Photo Credit: Anik/ Facebook)

Mahmudullah Riyad: মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (Dhaka Premier League) ম্যাচে আবাহনীর কাছে ৬ উইকেটে হেরে মেজাজ হারান মহামেডানের অভিজ্ঞ তারকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (Mahmudullah Riyad)। ফলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত হয় আবাহনীর। ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের হ্যান্ডশেকের পর মাহমুদউল্লাহ যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন, তখন মহামেডান ড্রেসিংরুমের উপরের গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড থেকে তাকে কিছু বলা হয়। সেই শুনে খুব রেগে যান বাংলাদেশের এই তারকা ক্রিকেটার। তিনি মেজাজ হারিয়ে দর্শকদের স্ট্যান্ডে ওঠার চেষ্টা করেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ভিড় নিয়ন্ত্রণে আনার পর মাহমুদউল্লাহকে স্ট্যান্ড থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে আনছেন মহামেডান কর্মকর্তারা। এরপর ফেসবুকে এক বাংলাদেশ ফ্যানের পোস্ট ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি দাবি করছেন মাহমুদউল্লাহর ঘটনা তাঁকে ঘিরে। তিনি এই তারকাকে কিছু বলেননি 'ভুয়ো' শব্দ নিয়ে একটি ভুল বোঝাবুঝি হয়। Tamim Iqbal on Towhid Hridoy Ban Controversy: বিসিবির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ক্রিকেটারদের বিক্ষোভে সামিল তামিম ইকবাল, আসলে কি তৌহিদ হৃদয়ের ঘটনা?

ফ্যানদের দিকে তেড়ে যান মাহমুদউল্লাহ

মাহমুদউল্লাহর ঘটনায় ফ্যানের বক্তব্য

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালের ফলাফল

এই ম্যাচে মহামেডান প্রথমে ব্যাট করে ২৪০ রান করে। উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ রান করলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি তৌফিক খান (১৬)। অধিনায়ক রনি তালুকদার ৪৫ রানে বিদায় নিলে মহামেডান চাপে পড়ে যায়। তবে ষষ্ঠ উইকেটে গুরুত্বপূর্ণ ৯০ রানের জুটিতে ইনিংস পুনরুদ্ধার করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল ইসলাম। দুজনের হাফসেঞ্চুরিতে মহামেডান ৭ উইকেটে ২৪০ রানে আটকে যায়। রান তাড়া করতে নেমে অবিচল থাকেন পারভেজ হোসেন ইমন ও জিসান আলম। ইমন ২৮ ও জিশান ৫৫ রানে নাসুম আহমেদের শিকার হন। এরপর মহম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেক হোসেন চতুর্থ উইকেটে অপরাজিত ১২৫ রানের জুটি গড়ে আবাহনীর জয় ও ট্রফি নিশ্চিত করে। যেখানে মিঠুন ৬৬ ও মোসাদ্দেক ৭৮* রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। সবশেষ ২০০৯ সালে শিরোপা জেতা মহামেডানকে তাদের খরা কাটাতে অপেক্ষা করতে হবে আরও এক মরসুম।