
Tamim Iqbal on Towhid Hridoy Ban Controversy: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (Bangladesh Cricket Board) সভাপতি ফারুক আহমেদের (Faruque Ahmed) সঙ্গে প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটারদের এক মিটিংয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তামিম ইকবালের (Tamim Iqbal) নেতৃত্বে একদল বর্তমান ও প্রাক্তন খেলোয়াড়ের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। সেখানে খেলোয়াড়দের সাথে প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ এবং জনসাধারণের অপমানের বর্ণনা সহ নানা বিতর্ক নিয়ে বাড়তে থাকা অস্থিরতা নিয়ে আলোচনা করা হয়। অসন্তোষের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল তৌহিদ হৃদয়ের (Towhid Hridoy) সাসপেনশন কাহিনী। মাঠে খারাপ আচরণের কারণে প্রাথমিকভাবে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হওয়া হৃদয় মাত্র একটি ম্যাচে ব্যানের পরে ফিরে আসেন। এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হয়। এরপর বিসিবি ফের ব্যান জারি করলে পরিস্থিতি আরও বিভ্রান্তিকর হয়ে ওঠে, যা খেলোয়াড়দের মধ্যে আরও ক্ষোভের জন্ম দেয়। Bangladesh Squad, BAN vs ZIM 2nd Test: জিম্বাবয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ দলে ফিরছেন আনামুল, বাদ নাহিদ
তৌহিদ হৃদয় ব্যান বিতর্কে তামিম ইকবাল
নিষেধাজ্ঞার এক ম্যাচ পরই হৃদয়ের শাস্তি কমিয়ে ফেলা হয়। দুই ম্যাচ খেলার পর ফের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় তাকে।
বিস্তারিত: https://t.co/OYwFa3vd3f#TamimIqbal #tohidhridoy #cricket #somoytv pic.twitter.com/O3h1UG4cWs
— Somoy TV (@somoytv) April 25, 2025
কি বললেন তামিম ইকবাল
তামিম বলেন, 'এটা হাস্যকর। একবার একজন খেলোয়াড় সাসপেনশন ভোগ করলে এবং তাকে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়া হলে, কীভাবে তাকে একই অপরাধের জন্য আবার শাস্তি দেওয়া যেতে পারে?' দুর্নীতিবিরোধী তদন্তের সময় বিতর্কিত বরখাস্ত হতে বাধ্য হওয়া ক্রিকেটার নাঈম ও সাব্বিরের আচরণ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। তামিম বলেন, 'যারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে তাদের শাস্তি দিন, হ্যাঁ। কিন্তু প্রকাশ্যে খেলোয়াড়দের অপমান করা যে কোনো নিয়মের ঊর্ধ্বে।' আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ছিল সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১০ জন খেলোয়াড়ের নাম দুর্নীতির অভিযোগে একটি তালিকা ফাঁস হওয়া। তথ্য ফাঁসের সমালোচনা করে তামিম বলেন, এতে অন্যায়ভাবে খেলোয়াড়দের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে, যারা কোনো অন্যায় করেনি। তামিম ইকবাল বলেন, 'একজন খেলোয়াড় যদি দোষী হয়, তাহলে কাজ করুন। কিন্তু ফাঁস করে সবাইকে অপমান করবেন না।' জবাবে বিসিবি স্পষ্ট করে জানায়, হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়নি, বরং প্রতিযোগিতার সততা বজায় রাখতে এবং ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে ১২ মাসের মধ্যে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আসলে কি তৌহিদ হৃদয়ের ঘটনা?
মিরপুরে আবাহনীর বিপক্ষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (Dhaka Premier League) ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার তানভীর আহমেদ (Tanvir Ahmed) ও শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের (Sharfuddoula Ibne Shahid Saikat) সঙ্গে বাক্য বিনিময়ের পর এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হন মহমেডান অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয়। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'সে (সৈকত) একজন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার এবং আমরা তাকে সম্মান করি। তবে আমরাও আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়।' হৃদয়ের এই মন্তব্যের পর তাকে আরও তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়। এরপর ম্যাচ রেফারি তাকে ৮০ হাজার বাংলাদেশি টাকা জরিমানাসহ দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করেন। এরপর লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে মহামেডানের প্রথম ম্যাচে খেলেননি হৃদয়। দ্বিতীয় ম্যাচে মহামেডানের দলে ডাক পান হৃদয়। মহামেডান কর্মকর্তারা দাবি করেন যে তারা নিষেধাজ্ঞা কমানোর আবেদন করা হয়েছে।
হৃদয়ের ব্যান তুলে নেওয়ায় ঘরোয়া আম্পায়ারিং ছাড়ার হুমকি দেন সৈকত। এরপর গাজী গ্রুপের বিপক্ষে আসন্ন ডিপিএলের ম্যাচে হৃদয়কে নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানান বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। এরপর গতকাল সকালে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে জাতীয় দল ও ঘরোয়া দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার জড়ো হন। বৈঠক শেষে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদসহ আরও দুই পরিচালকের সঙ্গে মিটিং করেন তারা। এখন জানা গিয়েছে হৃদয়ের ব্যান তুলে নেওয়া হয়নি বরং এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।