নরেন্দ্র মোদি(Photo Credit: Getty image)

দিল্লি, ৩০ মে: মহা সমারোহে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪-তে প্রথম ক্ষমতায় এলেও এবার একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় সেই রেকর্ডকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। তাই আয়োজনেও থাকছে বাহুল্য। দেশ বিদেশ মিলিয়ে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন প্রায় ৮০০০ অতিথি। গতবার আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল সার্কভুক্ত দেশগুলি, এবার বিমস্টেকের দেশগুলি (BIMSTEC countries) থেকে রাষ্ট্রপ্রধানরা আসবেন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আমন্ত্রিত হিসেবে যাচ্ছেন মৃত ৫৪জন বিজেপি সমর্থকের পরিবারের ৭০জন সদস্য। গতকাল রাজধানী এক্সপ্রেসে তাঁরা দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন। এই খবর জানার পরই মোদির শপথের অনুষ্ঠানে ( Narendra Modi swearing ceremony) যাওয়া থেকে নিজেকে ব্রাত্য রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

উল্লেখ্য, রাইসিনা হিলসের দরবার হলে আগে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হত, এখন সেই চিত্র বদলেছে। ২০১৪-থেকেই রাষ্ট্রপতি ভবনের ( Rashtrapati Bhavan) লনে হচ্ছে অনুষ্ঠান। দ্বিতীয়বারের মতো এই লনেই শপথ নেবেন মোদি। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ( President Ram Nath Kovind) তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। জানা গিয়েছে, শুধু মমতা নন, ইউপিএ-শিবির থেকে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আজ সন্ধ্যা সাতটায় সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় বারের জন্য শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। বিদেশি অতিথিদের যে তালিকা এখনও পাওয়া গিয়েছে তা হল, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ কুমার জুগনৌথ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোতে শেরিং, থাইল্যান্ডের রাজার প্রতিনিধি, মায়ানমারের রাষ্ট্রপতি, শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপালা সিরিসেনা, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি-সহ অনেকে। প্রায় শতাধিক প্রবাসী ভারতীয়ও ( NRI) মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এদিন দিল্লি উড়ে আসছেন।

এত গেল অতিথি অভ্যাগত ও শানদার অনুষ্ঠানের কথা, দেশের প্রধানমন্ত্রী বলে কথা, তাঁর কিনা শপথ নেবার অনুষ্ঠান জাঁকযমকের সঙ্গে খাওয়াদাওয়ারও এলাহি আয়োজন থাকবে। ঠিকই ধরেছেন, মোদি যখন শপথবাক্য পাঠ করবেন, তখন অতিথি অভ্যাগতদের দেওয়া হবে নানা ধরনের স্ন্যাক্স। ভোজনপর্ব এখানে শুরু হলেও মারকাটারি খাবারের জন্য নৈশভোজ পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। নৈশভোজে টেবিল সাজিয়ে অতিথিদের অপেক্ষায় থাকবে সিঙাড়া, পনিরের বিভিন্ন পদ, নানারকম মিষ্টি। বিশেষ চমক হিসেবে থাকছে ডাল রাইসিনা ("Dal Raisina")। রাজধানীর এক হোটেলের শেফ থাকবেন ভোজনপর্বের দায়িত্বে। তাঁর নাম মাচিন্দ্রা কাস্তোর, তিনি জানালেন, এই ডাল রাইসিনা-র আর এক নাম মা-কি-ডাল ("maa ki daal")। ২০১০-এ প্রথম এই ডাল বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। নিজের মুখে রেসিপি সম্পর্কে কিছু বলতে না চাইলেও জানালেন, টম্যাটো পিউরি, অড়হড় ডাল ও জাফ্রান লাগে। পদ্ধতি সম্পর্কে কিছুই জানাননি, তবে এই ডাল রাঁধতে ৪৮ঘণ্টা সময় লাগে।