Uttarkashi Tunnel Collapse (Photo Credits: ANI)

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী সুড়ঙ্গে টানা আটদিন ধরে আটকে পড়ে ৪১ জন শ্রমিক। তাঁদের উদ্ধার করতে নেওয়া হচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ। কিন্তু সব পরিকল্পনাই বাস্তবায়িত করতে গিয়ে মাঠে মারা যাচ্ছে। যত দিন এগোচ্ছে আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবার ব্যাকুল হয়ে পড়ছে। দিনভর উদ্ধারের কাজে বিশাল বিশাল কংক্রিটের ব্লক, বিরাট যন্ত্র আসছে। তবে অভিযানে জুড়লেন ইন্টারন্যাশনাল টানেলিং আন্ডারগ্রাউন্ড স্পেসের প্রফেসর আর্নল্ড ডিক্স। আজ সোমবার উত্তরাখণ্ড পৌঁছেছেন তিনি।

সুড়ঙ্গে আটকা পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারে নতুন করে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে শ্রমিকদের উদ্ধারে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। তাই শুকনো খাবারের পরিবর্তে এবার শ্রমিকদের কাছে ভাত-রুটি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে উদ্ধারকারী দল।

ঘটনাস্থলে আর্নল্ড... 

রবিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনএ গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। শক্তিশালী যন্ত্রের মাধ্যমে ৬০ মিটারের বেশি ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে সেখান থেকে পাইপ ঢুকিয়ে শ্রমিকদের বের করে আনার পরিকল্পনা হয়েছিল। নরম মাটিতে খনন ভালই হচ্ছিল। কিন্তু খনন প্রক্রিয়া চলাকালীন প্রবল কম্পনে নতুন করে ছাদ ধসে পড়ে। শ্রমিকদের সুরক্ষার কথা ভেবে তৎক্ষণাৎ খনন বন্ধ করে দেওয়া হয়। সুরক্ষা নিশ্চিত করে ফের শুরু হবে কাজ।

গত ১২ নভেম্বর ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ ব্রহ্মখাল-যমুনত্রী হাইওয়ের নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গটির একাংশ ধসে পড়ে। সেই থেকে ৬০ মিটারের বেশি গভীর ধ্বংসস্তূপে আটকে ৪১ জন শ্রমিক। অক্সিজেন পাঠানোর সরু পাইপ দিয়ে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে শুকনো খাবার। দমবন্ধকর পরিস্থিতিতে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শ্রমিকেরা। পাঠানো হচ্ছে ওষুধও।