Umar Khalid (Photo Credit: X)

নয়াদিল্লি: রাজধানীর দাঙ্গায় (Delhi Riots) ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন (Umar Khalid bail) দিল আদালত। দিল্লির করকারডুমা আদালত উমর খালিদকে ৭ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে। সূত্রে খবর, উমর খালিদ পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ১০ দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়েছিলেন। তবে, কারকড়ডুমা আদালত উমর খালিদকে ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের শর্ত হলো খালিদ দিল্লিকাণ্ডে কোনও সাক্ষী বা মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনও ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের সময় খালিদকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার না করারও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

উমর খালিদ কে?

উমর খালিদ দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) প্রাক্তন ছাত্র, তাঁর বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লিতে দাঙ্গার মূল অভিযুক্ত হিসেবে অভিযোগ রয়েছে।

২০২০ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) এবং ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন (NRC) আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় দিল্লিতে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লির দাঙ্গায় ৫৩ জন নিহত এবং ৭০০ জনের বেশি আহত হয়, বহু দোকানপাট ও বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উমর খালিদকে গ্রেফতার করে। তারপর থেকে জেলবন্দী রয়েছেন উমর।

উমর খালিদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে!

দিল্লি দাঙ্গায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেতা উমর খালিদকে অভিযুক্ত করেছে দিল্লি পুলিশ। উমর খালিদকে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের অধীনে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লি পুলিশ উমর খালিদের বিরুদ্ধে হত্যা, খুনের চেষ্টা, দাঙ্গা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ বিভিন্ন ধারায় একটি চার্জশিট দাখিল করে।

উমর খালিদ ২০২০ সাল থেকে কারাগারে রয়েছেন। নিম্ন আদালত ২০২২ সালের মার্চ মাসে প্রথমবার তাঁকে জামিন দিতে অস্বীকার করে। এর পরে উমর খালিদ ২০২৩ সালের মে মাসে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। আবেদনের শুনানি কয়েক দফা পিছিয়ে যায়। পরে, পরিস্থিতির পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে উমর সুপ্রিম কোর্ট থেকে তাঁর জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে নেন। উমরের আইনজীবী কপিল সিবাল বলেছিলেন যে আমরা পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে আবেদনটি প্রত্যাহার করতে চাই এবং উপযুক্ত ত্রাণের জন্য ট্রায়াল কোর্টের কাছে যেতে চাই। তিনি ট্রায়াল কোর্টে দ্বিতীয়বার জামিনের আবেদন করেন, যা চলতি বছরের শুরুতে খারিজ হয়ে যায়।