প্রতীকী ছবি (Representational Image/ File Photo)

দিল্লি, ২৪ সেপ্টেম্বর: সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার রোধে কেন্দ্র ঠিক কী কী করছে, তার হলফনামা দিক। মঙ্গলবার এর জন্য কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহ সময়ও বেঁধে দিল দেশের শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। বিচারপতি বলেছেন, বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী অনলাইনে নানা অপরাধ করে বেড়াচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করার মতো প্রযুক্তি নেই বললে হবে না। যদি অনলাইনে অপরাধ করার মতো প্রযুক্তি থাকে, তাকে ঠেকানোর মতো প্রযুক্তিও আছে। তাই অনলাইনে অপরাধের সঙ্গে যুক্তরা অধরা এসব অর্থহীন কথা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। তিন সপ্তাহের মধ্যে অনলাইন অপরাধের কিনারা করার প্রযুক্তির বিশদ কেন্দ্রকে জমা করতে হবে। গত সপ্তাহেই এই মর্মে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতাকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।

তাতে বলা হয়েছিল, অনলাইনে অপরাধ রোধ করতে সরকার ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা ২৪ সেপ্টেম্বর আদালতে জানান। যদি কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ কেন্দ্র করতে উঠতে না পারে তাহলে বাকিটা আদালতই করবে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। এই অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়াটা জরুরি। আরও পড়ুন-ত্রিপুরাতে এনআরসি চেয়ে দলে ব্রাত্য, প্রধান পদ-সহ কংগ্রেস ছাড়লেন প্রদ্যোৎ দেব বর্মন

একইসঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় টেলিকম, তথ্যপ্রযুক্তি ও আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ বলেন, আমাদের অনলাইনে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ফেসবুক বলেছে, তারা ভারতে ফ্রি বেসিক চালু করতে চায়। আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, তাদের অফার খুবই আকর্ষণীয়। কিন্তু একটু খতিয়ে দেখলে বোঝা যায়, আমরা যদি ওই প্রস্তাব মেনে নিই, তাহলে নিজেদের সব তথ্য তাদের হাতে বিনা পয়সায় তুলে দিতে হবে। পরে রবিশংকর প্রসাদ বলেন, আমি চাই, ভারত ডাটা অ্যানালেটিকসের ক্ষেত্রে বড় শক্তি হয়ে উঠুক।