নয়াদিল্লি: খাজা মইনুদ্দিন চিস্তির (Khwaja Moinuddin Chishti) উরস উপলক্ষে আজমির (Ajmer) শরীফে চাদর (Chadar) পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)। নরেন্দ্র মোদী ঐতিহ্য মেনে আজমির শরীফ দরগায় নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর কাছে ঐতিহ্যবাহী চাদর হস্তান্তর করেছেন। রিজিজু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাঁর এবং বিজেপি সংখ্যালঘু মোর্চা সভাপতি জামাল সিদ্দিকীর হাতে প্রধানমন্ত্রীর চাদর হস্তান্তরের ছবি শেয়ার করেছেন।
দরগায় উরস উপলক্ষে এই চাদর দেওয়া হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের পক্ষ থেকে দরগায় চাদর পাঠানোর একটি পুরনো প্রথা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু আগামী ৪ জানুয়ারী আজমীরে পৌঁছে খাজা মইনুদ্দিন চিশতীর উরস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পাঠানো চাদর দেওয়া হবে।
আজমীর শরীফ দরগাহ প্রধান নাসিরুদ্দিন চিশতি বলেছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদীর তরফে চাদর পাঠানো সেই সমস্ত লোকদের জন্য উপযুক্ত জবাব, যারা গত পাঁচ মাস ধরে মন্দির ও মসজিদ তৈরি করে ধর্মীয় বিভেদ ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। সেখানে সরকার দেশের সভ্যতা ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান বজায় রাখছে।
প্রধানমন্ত্রীর চাদর হস্তান্তরের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন কিরেন রিজিজু
PM @narendramodi ji presented the Chadar that would be offered on his behalf at the Ajmer Sharif Dargah on the Urs of Khwaja Moinuddin Chishti.
This gesture reflects his deep respect for India’s rich spiritual heritage and the enduring message of harmony and compassion. pic.twitter.com/m3jTR0MjV7
— Kiren Rijiju (@KirenRijiju) January 2, 2025
গত বছর নভেম্বরে, আজমিরের একটি আদালত হিন্দু সেনা (Hindu Sena) সংগঠনের আবেদনের শুনানির জন্য অনুমোদন করেছিল, যেখানে দাবি করা হয়েছিল যে খাজা মইনুদ্দিন চিশতির দরগা একটি শিব মন্দিরের উপরে নির্মিত হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর চাদর পাঠানোর খবরের পর হিন্দু সেনার জাতীয় সভাপতি বিষ্ণু গুপ্ত বলেছেন, মামলা চলাকালীন চাদর পাঠানো স্থগিত রাখা উচিত।
বর্তমানে জ্ঞানবাপী, শাহি ইদগাহ-সহ একাধিক মসজিদে আদালতের নির্দেশে চলছে সমীক্ষা। গত মাসে সম্ভলের একটি মসজিদে সমীক্ষা চলাকালীন ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়, এখনো অশান্ত সম্ভল। ইদানিং বিভিন্ন সংখ্যালঘু ধর্মীয় স্থানে সমীক্ষার দাবি তুলছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ঐতিহ্য মেনে প্রধানমন্ত্রীর এই সম্প্রীতির বার্তা সংঘটনটির জন্য বড় ধাক্কা।