কলকাতা, ৮ জুন: বিজেপিতেই (BJP) আছেন মুকুল রায় (Mukul Roy), ফের জানিয়ে দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (West Bengal Assembly Speaker Biman Bandopadhyay)। নদিয়ার কৃষ্ণনগর উত্তর আসনের (Krishnanagar North Constituency) বিধায়ক সদস্য হিসাবে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করা যাবে না বলেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। স্পিকার বলেছেন যে মুকুল রায় একজন নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক হিসাবেই রয়েছেন, কারণ তিনি যে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদান করেছেন তা প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং তাই তাঁকে বিদ্যমান দলত্যাগ বিরোধী আইনের অধীনে বিধায়ক হিসাবে অযোগ্য ঘোষণা করা যাবে না।
যেহেতু মুকুল রায় একজন নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক হিসাবে অবিরত আছেন, তাই রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর প্রতিবন্ধকতা দূর করা হয়েছে। যদিও সাধারণত পিএসি চেয়ারম্যানের চেয়ার রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের একজন বিধায়ককে দেওয়া হয়। আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Slams BJP: ভোট এলেই মানুষকে বোকা বানাতে পৃথক রাজ্য, উজ্জ্বলা যোজনা; বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে বিজেপি বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলাফল ঘোষণার কয়েকদিন পরেই মুকুল রায় ও তাঁর ছেলে তৃণমূল কংগ্রেসের সদর দফতরে যান এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য দলের নেতাদের উপস্থিতিতে পুরনো দলে ফিরে যান। এর পরেই পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করেন। যাইহোক, কয়েক দফা শুনানির পরে স্পিকার রায় দেন যে মুকুল রায় বিজেপি বিধায়ক হিসাবে থেকে যাবেন। রায়ে অসন্তুষ্ট শুভেন্দু সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। যদিও সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে পাঠায়। এপ্রিলে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ স্পিকারকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দেয়। বুধবার স্পিকার তাঁর আগের সিদ্ধান্ত বহাল রাখলেন।