Indo Greek Marriage at mahakumbh (Photo Credit: X@ANI)

রবিবার উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় গ্রীক যুবতী পেনেলোপকে বৈদিক মতে বিয়ে করলেন ভারতীয় যুবক সিদ্ধার্থ। বিবাহের সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান ও 'কন্যাদান' অনুষ্ঠানটি জুনা আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী যতিন্দ্রানন্দ গিরির উপস্থিতিতে কনের মা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের সামনেই সম্পন্ন হয়। বিবাহের অনুষ্ঠানে নাচ-গান-খাওয়া দাওয়া থেকে দূরে থাকতে পরিবর্তে আরও "ঐশ্বরিক এবং আধ্যাত্মিক" উপায় হিসাবে বিয়ে করার জন্য ধর্মীয় মণ্ডলীকে বেছে নিয়েছিলেন ওই দম্পতি।

জুনা আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী যতিন্দ্রানন্দ গিরি বলেন যে পেনেলোপ কয়েক বছর আগেই 'সনাতন ধর্ম'-এর ঐতিহ্য গ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি ভগবান শিবের ভক্ত। অন্যদিকে "সিদ্ধার্থও আমাদের ভক্ত। যোগব্যায়ামের মাহাত্ম্য ছড়িয়ে দিতে এবং সনাতন ধর্মের সেবা করতে বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন।  তাই সনাতন ধর্মের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে অগ্নি সাক্ষী রেখে দুজনের বিবাহ সম্পাদন হয়েছে।

উৎসবের সময় ভারতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে গ্রীক যুবতী পেনেলোপ বলেন, "মহাকুম্ভের আধ্যাত্মিক পরিবেশ দেখে তাঁর খুব ভালো লেগেছে। হিন্দু সনাতন ধর্মের নতুন সংস্কৃতি গ্রহণ করতে পেরে সে উত্তেজিত। তিনি বলেন- “আমি কখনও ভারতীয় বিয়েতে যোগদান করিনি এবং আজ আমি কনে ছিলাম তাই সবকিছুই আমার কাছে নতুন কিন্তু একই সাথে খুব পরিচিত। যা ঘটেছে তা একটি অনুষ্ঠান ছিল, আমি আর সিদ্ধার্থ আধ্যাত্মিক উপায়ে বিয়ে করেছি।"

সিদ্ধার্থ বলেন যে তারা "সবচেয়ে খাঁটি পদ্ধতিতে" বিয়ে করতে চেয়েছিলেন এবং সেই ভাবনা থেকেই "ঐশ্বরিক প্রকৃতির" জন্য প্রয়াগরাজকে বেছে নিয়েছিলেন।সিদ্ধার্থ বলেন "আমরা জানি যে এই সময়ে যে প্রয়াগরাজ সম্ভবত কেবল দেশ বা বিশ্বের নয় বরং মহাবিশ্বের সর্বোত্তম স্থান যেখানে সমস্ত ধরণের দেবত্ব, তীর্থযাত্রা সবকিছু এখানে উপস্থিত রয়েছে"

নবদম্পতি সংবাদ মাধ্যমকে জানান -যে তারা মহাকুম্ভ মেলার শেষ অবধি থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তারা  ২৯ জানুয়ারি পবিত্র স্নান করবেন। পেনেলোপ পুণ্যস্নান নিয়ে বলেন “আমরা শুরু থেকেই এখানে আছি এবং সবকিছু শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানে থাকার পরিকল্পনা করছি। অবশ্যই আমি পুণ্যস্নান মিস করব না, আমি ইতিমধ্যেই সুযোগ পেয়েছি।আমি এখানে আছি বলে আমি এবং আমার মাও খুব খুশি”