কোপাল, ২২ জুনঃ কুঁড়ে ঘরে লাখ টাকার ইলেকট্রিক বিল। সেই বিল হাতে পেতেই প্রাণ যায় যায় অবস্থা ৯০ বছরের বৃদ্ধার। কর্ণাটকের (Karnataka) কোপাল শহরের ভাগ্যনগর নিবাসী গিরিজাম্মা কোনরকমে একটি কুঁড়ে ঘরে জীবন অতিবাহিত করছেন। শেষ জীবনে তাঁকে দেখার কেউ নেই। একাই থাকেন। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মত অবস্থা তাঁর সংসারে। গিরিজাম্মার হাতে যখন ওই ১ লক্ষ টাকার ইলেকট্রিক বিল এসে পৌঁছল মুহূর্তের জন্যে তাঁর পায়ের তলা থেকে যেন মাটিটা সরে গিয়েছিল। অভাবের সংসারে ১ লক্ষ টাকার ইলেকট্রিক বিল, মুখের কথা নাকি।
কুঁড়ে একটা ঘরে একাই থাকেন ৯০ বছরের গিরিজাম্মা। ফ্যান আলো চলে যৎসামান্য। ফলে প্রতি মাসে ৭০-৮০ টাকা ইলেকট্রিক বিল আসে তাঁর। বিলের সেই অর্থ জোগার করেতেই বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয় বৃদ্ধাকে। আর সেখানে হঠাৎ করে ১ লক্ষ টাকার ইলেকট্রিক বিল দেখে মরি মরি অবস্থা হয়েছে গিরিজাম্মার। কোথা থেকে পাবেন ওই বিশাল অঙ্কের টাকা যা দিয়ে ইলেকট্রিক বিল মেটাবেন, চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছিল তাঁর।
কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে সোশ্যাল মিডিয়ার শরণাপন্ন হলেন বৃদ্ধা। এক প্রতিবেশী বৃদ্ধার অবস্থার কথা জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখা লিখি করেন। সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই একজোট হন নেটিজেন। কুঁড়ে ঘরের জন্যে কীভাবে ১ লক্ষ টাকা ইলেকট্রিক বিল আসতে পারে, কর্ণাটকের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্নের উত্তর চান নেটবাসী। এরপরেই বিষয়টি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর চোখে পড়ে। খতিয়ে দেখতে গিয়ে উঠে এল নতুন এক তথ্য।
বিদ্যুৎ অফিসের তরফে বৃদ্ধাকে জানানো হয়েছে, কিছু যান্ত্রিক ট্রুটির কারণে ইলেকট্রিক বিল নিয়ে এইরূপ বিভ্রাট সৃষ্টি হয়েছে। তাই তাঁকে ওই বিপুল পরিমান বিলের অর্থ জমা করতে হবে না। ইলেকট্রিক অফিসের তরফে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছে বৃদ্ধার কাছে। একই সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট মাসের জন্যে বৃদ্ধাকে ইলেকট্রিক বিল বাবদ কোন অর্থই দিতে হবে না।