Gaza (Photo Credit: Twitter)

প্রায় দুমাস ধরে চলতে থাকা ইজরায়েল হামস সংঘর্ষে (Israel-Hamas War) অবশেষে গাজায় চার দিনের সাময়িক যুদ্ধ বিরতি। দু মাসে এই প্রথমবার বোমার বিস্ফোরণ, গুলিগালা কিংবা রক্তাক্ত মৃত্যু ব্যতিত সকাল দেখেছে গাজাবাসী। যুদ্ধ বন্ধের শর্ত মেনে গতকাল ২৫ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস (Hamas)। জানা যাচ্ছে, ওই ২৫ জনের মধ্যে ১৩ জন ইজরায়েলের বাসিন্দা। বাকি ১০ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক। অন্যদিকে শর্ত মাফিক ৩৯ জন বন্দীকে জেল থেকে ছেড়েছে ইজরায়েল।

জানা যাচ্ছে, আজ দ্বিতীয় দফায় পণবন্দীদের মুক্তি দিতে চলছে দুই পক্ষ। ইজরায়েল কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, হামাসের (Hamas) কাছে বন্দী ১৪ জন ইজরায়েলিকে মুক্তির বিনিময়ে ৪৩ জন প্যালেস্তিনীয়কে ছাড়বে ইজরায়েল। টাইমস অফ ইজরায়েলে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ১ জন ইজরায়েলি পণবন্দি মুক্তির পরিবর্তী ৩ জন প্যালেস্তিনীয়কে মুক্তি দিতেও প্রস্তুত ইজরায়েল (Israel)।

ইজরায়েল জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর হামলা চালিয়ে মোট ২৪০ জনকে পণবন্দি বানিয়েছিল প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। এরপর ইজরায়েল পালটা যুদ্ধ ঘোষণা করে। আকাশপথে অভিযানের পাশাপাশি গাজায় ঢুকে স্থলপথে বিস্ফোরক হামলা শুরু করে ইজরায়েল সেনা বাহিনী। যুদ্ধে গাজায় মৃত্যু সংখ্যা ১৪ হাজারে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। দুই পক্ষের চলমান সংঘর্ষে সাময়িক যুদ্ধ বিরতি এবং সেই শর্তে পণবন্দীদের মুক্তির খবরে কিছুতেই খুশি হয়ে পারছে না গাজাবাসীরা। ইজরায়েলের থেকে মুক্তি পেলেও ফিরে এসে তাঁরা থাকবেন কোথায়? খাবেন কী? গাজার অধিকাংশই তো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। পরিবারের কেউ বেঁচে আছে কিনা সেই খবর টুকুও নেই। বেঁচে থাকলেও কোথায় আছে তাও কেউ জানে না।  আজ মুক্তি পেলেও পুনরায় যুদ্ধ শুরু হলে আবার তাঁদের বন্দী করা হবে না সেই নিশ্চয়তাও নেই। এক অনিশ্চয়তায় ভুগছে গোটা গাজা।