দলাই লামা (Photo Credits: PTI)

গয়া, ২৫ ডিসেম্বর: বড়দিনে চিনকে কড়া বার্তা দিলেন তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা (Tibetan spiritual leader) দলাই লামা (Dalai Lama)। বুধবার বিহারের গয়ায় (Gaya) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় দলাই লামা বলেন, "চিনের কমিউনিস্টদের বন্দুকের শক্তি রয়েছে, যেখানে আমাদের সত্যের শক্তি রয়েছে। দীর্ঘকালীন সময়ে সত্যের শক্তি বন্দুকের শক্তির চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী।" ১৯৫৯ সালে চিনা (China) শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পরে ভারতে নির্বাসিত হয়েছিলেন দলাই লামা। তখন থেকেই বেশিরভাগ সময় তিনি হিমাচলপ্রদেশের ধর্মশালায় থাকেন। ১৯৮৯ সালে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরষ্কার দেওয়া হয়। তাঁর সমর্থকরা হিমাচল প্রদেশ থেকেই সরকার পরিচালনা করেন এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে তিব্বতের স্বায়ত্তশাসনের প্রচার করেন। ৮৪ বছর বয়সী নোবেল জয়ী এখনও পর্যন্ত তাঁর উত্তরসূরির ঘোষণা করেননি। এই বছরের শুরুর দিকে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে ভারত থেকেই নিজের উত্তরসূরি বেছে নিতে পারেন।

বর্তমান দলাই লামা ১৪তম এবং তাঁর উত্তরসূরির বাছার বিষয়টি পুনর্জন্মের বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। ২ বছর বয়সে লামো ধোনডুপ নামের এক শিশু ১৩তম দলাই লামার পুনর্জন্ম হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিল। ১৯৩৫ সালে বর্তমান ১৩ তম দালাইলামার মৃত্যুর পর তার পরবর্তী তেনজিন গিয়াৎসুকে খুঁজে বের করতে ৪ বছর ধ্যানরত ছিলেন প্রধান লামারা। ৪ বছরের মাথায় লামারা তার ব্যাপারে অবহিত হয়ে তাকে খুঁজে বের করেন। চিন সরকার দলাই লামাকে বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। আরও পড়ুন: হিমাচলপ্রদেশের ধর্মশালায় নির্বাসিত তিব্বতিরা আয়োজন করলেন বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানের; দালাই লামার দীর্ঘ জীবন কামনায় আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষ হল গতকাল

চিনের কমিউনিস্ট সরকারও দেশের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিদ্যালয়কে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করেছে এবং ১৯৯৯ সালে নির্বাচিত মূল পঞ্চন লামাকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তখন চিন সরকার তার নিজস্ব পঞ্চন লামা নিযুক্ত করে। এই পঞ্চন লামা তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা।