অযোধ্যা, ৩০ জুনঃ মাত্র ৬ মাস আগে জাঁকজমক করে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে নির্মিত রাম মন্দির ঘিরে এবার উঠছে দুর্নীতির প্রশ্ন। বছরের প্রথম বৃষ্টিতেই বেহাল দশা রাম পথের (Ram Path)। রাস্তার চারিদিকে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হয়েছে। রাস্তার জমা জল পার করে রাম মন্দিরে রামলালার দর্শন করতে যাচ্ছেন ভক্তরা। কিন্তু মাস ছয় আগে উদ্বোধন হওয়া মন্দিরের জন্যে বানানো ১৪ কিলমিটারের এই রাস্তা প্রথম দফার বৃষ্টিতেই এমন চেহারা নিয়েছে যে রাম মন্দিরের পথ কিছুটা এড়িয়েই চলছেন ভক্তকুল। নবনির্মিত রাম পথের দুর্দশা দেখে যোগী সরকার ইতিমধ্যেই অবহেলার অভিযোগ তুলে নাগরিক সংস্থার ছয় কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে।
রাম পথে (Ram Path) গর্ত, জল জমার পাশাপাশি রাম মন্দিরের মধ্যেও জল ঢোকার খবর মিলেছে। বৃষ্টিতে মন্দিরের দেওয়ালে ড্যাম্প ধরার দৃশ্যও সমাজমাধ্যমে ছরিয়েছিল। যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষ সেই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে। যে রাম মন্দির উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেকে 'পরাত্মার দূত' মনে করেছিলেন সেই রাম মন্দির যে লোকসভার অধীনে সেখান থেকেই ভোটে হেরেছে বিজেপি। ফৈজাবাদ লোকসভার নবনির্বাচিত সাংসদ অবধেশ প্রসাদ অযোধ্যায় ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ রাম পথের এমন দুর্দশার চিত্র দেখে মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি নির্মাণ কার্যে অনিয়মের অভিযোগ তুলে উচ্চ-স্তরের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
গত ২৩ এবং ২৫ জুনের প্রবল বৃষ্টিতে রাম পথের প্রায় ১৫টি বাইলেন এবং রাস্তা প্লাবিত হয়েছে। এমনকি রাস্তার ধারের বাড়িগুলোতেও জল জমেছে। শনিবার অবধেশ প্রসাদ এবং সমাজবাদী পার্টির জেলা সভাপতি পরশনাথ যাদব অযোধ্যার রাম পথ এবং আশেপাশের এলাকা পরিদর্শন করেন। অযোধ্যার একমাত্র সরকারি হাসপাতাল, শ্রীরাম হাসপাতাল তাও জলমগ্ন বলে জানান অবধেশ।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষে ছয়জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার খবরে ফৈজাবাদ সাংসদের প্রতিক্রিয়া, এই দুর্নীতির জন্যে কতজন দায়ী, কারা দায়ী, সবকিছুই পরিষ্কার হওয়া জরুরি। কিছু লোকের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। রাম পথ নির্মাণে অনিয়মের সঙ্গে আরও বেশি লোক জড়িত।' তাঁর আরও সংযোজন, রামের নামে লুট করা হচ্ছে। একটি উচ্চ-স্তরের তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত।