নয়া দিল্লি, ২০ ফেব্রুয়ারীঃ দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট। তৃতীয়বারেও দিল্লির মসনদে যে মোদী সরকারই রাজ করতে চলেছে সে কথা আগেই দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিরোধীদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। ৪০০ আসনে সরকার গড়বে এনডিএ জোট (NDA), সাম্প্রতিককালে দাঁড়িয়ে এমন গান বারেবারে গাইতে শোনা গিয়েছে নমোকে। তবে এবার প্রধানমন্ত্রীর আত্মবিশ্বাসকে পালটা চ্যালেঞ্জ জানালেন জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে (Mallikarjun Kharge)। মোদীর 'আবকি বার মোদী সরকার' স্লোগানকে ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিমায় খাড়্গে বললেন, 'আবকি বার সত্তা সে বাহার'। যার বাংলা সংস্করণ করলে দাঁড়ায়, পরের বার ক্ষমতার বাইরে।
প্রধানমন্ত্রী যেখানে বারংবার ৪০০ আসনে জিতে ক্ষমতা দখলের কথা বলছেন, সেখানে কংগ্রেস সভাপতি আওয়াজ চড়িয়ে জানিচ্ছেন, ৪০০ আসন তো দূর, ১০০ আসনও পাবে না তাঁর জোট সরকার। এবার সোজা ক্ষমতার বাইরে যাবে তাঁরা।
মোদীকে (Narendra Modi) স্বৈরাচারী শাসক সম্বোধন করে খাড়্গে (Mallikarjun Kharge) বলেন, এই লোকসভা ভোটে বিজেপি পরাজিত না হলে দেশে আর কোনো নির্বাচন হবে না। আর কোন গণতন্ত্র থাকবে না। থাকবে না কোন সংবিধানও। এই প্রেক্ষিতে তাঁর অভিযোগ, যখনই তিনি সংসদে বক্তব্য রাখেন, তখনই তাঁর মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। শাসক দলের সদস্যরা তাঁর বক্তব্যে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেন। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা কোন গণতান্ত্রিক দেশে কখনও উচিৎ নয়।
উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা (Bharat Jodo Nyay Yatra) চলাকালীন এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে খাড়্গে বলেন, এই সরকার দেশের কৃষক, শ্রমিক, দলিত, আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য নয়। বরং দেশের ধনী সম্প্রদায়ের জন্য কাজ করে মোদীর সরকার। 'বন্ধু' শিল্পপতিদের ১৩ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ অনায়াসে মকুব করে দেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ দেশের কৃষকেরা ১২,০০০ বা ১৩,০০০ টাকার ঋণের জন্য আত্মহত্যা করতে বাধ্য হচ্ছন। ধনীদের উপর আরোপিত করের হার কমানো হয়েছে। অন্যদিকে দরিদ্রদের উপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।