প্রতীকী ছবি (Photo Credits: PTI)

বেঙ্গালুরু, ১৭ মার্চ: কর্ণাটকে ভোট ঘোষণার দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই কংগ্রেসে যোগদানের ঢল বাড়ছে। বিজেপি থেকে বেশ কয়েকজন বড় নেতা, বিধায়ক সহ জনপ্রতিনিধিরা কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। এমনকী কংগ্রেসের সহযোগী জেডি (এস) শিবির ছেড়ে হাতে যোগদানের হিড়িক লেগেছে। এই নিয়ে কর্ণাটক কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবাকুমার বললেন, " রাজ্যে বড় পরিবর্তন আসছে। সবাই কর্ণাটকে নতুন সরকার চাই। আমাদের রাজ্য এখন দেশের দুর্নীতির রাজধানী হয়ে গিয়েছে। এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে মানুষ রাজ্যে কংগ্রেস সরকার চাইছেন।"

এরপর শিবাকুমার বলেন, "কর্ণাটক পরিবর্তন যজ্ঞে যোগ দিতে রাজ্যের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্র মিলিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী হতে চেয়ে মোট ১৩০০ জনেরো বেশী সিরিয়াস আবেদন জমা পড়েছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে কংগ্রেসের দিকে ঠিক কতটা ঝুঁকে রয়েছে মানুষ।"আরও পড়ুন-হিমাচলে মদের বোতল পিছু ১০ টাকা গো কর চালু, বছরে হবে ১০০ কোটির রাজস্ব আদায়! 

দেখুন টুইট

কর্ণাটকে মোট ২২৪টি বিধানসভা আসন আছে। তার মানে কংগ্রেসে প্রার্থীপদে কেন্দ্র পিছু অন্তত ৬ জন করে সিরিয়াস আবেদনকারী আছেন। এটার যেমন একটা পজেটিভ দিক আছে, তেমনই আছে চিন্তার দিকও। কারণ কর্ণাটকে কংগ্রেসের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা গোষ্ঠীকোন্দল। মুখ্যমন্ত্রী দৌড়ে সরাসরি সংঘাত সিদ্ধারামাইয়া, শিবকুমার সহ চারজনের মধ্যে। রাজ্যে কংগ্রেস অন্তত তিনটি শিবিরে বিভিক্ত। শেষ অবধি এতজন আবেদনকারীর মধ্যে থেকে একজন করে প্রার্থী বাছলে নিশ্চিতভাবেই দলীয় কোন্দলের পরিস্থিতি তৈরি হবে। যার ফায়দা তুলতে পারে ক্ষমতাসীন বিজেপি।

যদিও রাজ্যে বিজেপির অবস্থা বেশ খারাপ। পদ্মশিবিরকে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া, যোগ্য রাজ্য নেতৃত্বের পাশাপাশি গোষ্ঠী কোন্দলও সামলে হচ্ছে। খুব সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হবে।