লখনউ, ৭ নভেম্বর: অযোধ্যা মামলার (Ayodhya case) রায় নিয়ে দেশজুড়ে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। কোনওভাবেই যেন অশান্তির বারুদ জমতে না পারে সেজন্য প্রত্যেকটি রাজ্য প্রশাসনের কাছে নোটিস পাঠানো হয়েছে। কোনও জমায়েত থেকে শুরু করে সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়লেই যেন তল্লাশি করা হয়, তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর খোদ উত্তরপ্রদেশের শান্তিশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার জন্য নয়া পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। অযোধ্যায় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য চার দফা পরিকল্পনা করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের কর্তারা মনে করেন, একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে অপরটি কাজে লাগানো যাবে। আপাতত শহরে ১২ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে সেখানে পাঠানো হবে আধা সেনা ও প্রভিন্সিয়াল আর্মড কনস্ট্যাবুলারি।
আর কয়েকদিনের মধ্যে অযোধ্যা মামলা নিয়ে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এই রায়কে কেন্দ্র করে যোগীর রাজ্যে নানারকম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরে চার জনের বেশি জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চলছে। কেউ আপত্তিকর কিছু পোস্ট করলে তাকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হবে। অযোধ্যা রায় নিয়ে কেউ যদি বিতর্কিত কিছু পোস্ট করেন বা শেয়ার করেন, তাহলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ডিজি ও পি সিং বলেন, “পুলিশ শহরে টহল দিচ্ছে। নানা অঞ্চলে শান্তি কমিটির বৈঠক করা হচ্ছে। বিভিন্ন জেলায় পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকদের বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। কেউ আইন ভাঙছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।” আরওপড়ুন-Patna School Teacher: ফের শিক্ষকের বিকৃত যৌনতার শিকার নাবালক পড়ুয়া, শিরোনামে পাটনার নামকরা ইংরেজি মাধ্যম স্কুল
Ministry of Home Affairs Sources: MHA sends general advisory to all states and union territories to remain alert and vigilant ahead of the probable verdict in Ayodhya case. pic.twitter.com/2VkrWwJGEb
— ANI (@ANI) November 7, 2019
শোনা যাচ্ছে, অযোধ্যায় কার্ফিউ জারি করা হবে না। স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখারও পরিকল্পনা নেই। প্রশাসন চাইছে, শহরের অবস্থা স্বাভাবিক থাকুক। আশা করা হচ্ছে, ১৭ নভেম্বরের আগে মন্দির-মসজিদ বিতর্কে রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি স্তরের কোনও অফিসারকে শহরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হবে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা জঙ্গি হানা, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, জনরোষ ও আরও যে কোনও আপৎকালীন ব্যবস্থা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। বিতর্কিত অঞ্চলে নিরাপত্তার কোনও ত্রুটি আছে কিনা, তা এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।