Memorial For Blackbucks: সলমন খানের হাতে হত্যা হওয়া কৃষ্ণসার হরিণের জন্য রাজস্থানে স্মৃতিসৌধ
Salman Khan And Blackbucks (Photo: FB, Pixabay)

জয়পুর, ৯ জানুয়ারি: রাজস্থানের (Rajasthan) যোধপুরে কানকানি গ্রামে (Kankani village) কৃষ্ণসার হরিণের (Blackbucks) স্মৃতিসৌধ (Memorial) নির্মাণ করা হবে। এর জন্য স্থানীয় বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের (Bishnoi Community) যুবকরা তহবিল সংগ্রহ করছেন। ২৪ বছর আগে এই কানকানি গ্রামেই দু'টি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করেন বলিউড অভিনেতা সলমন খান (Salman Khan)। ওই ঘটনার স্মৃতিতেই সৌধ নির্মাণ করা হবে। কৃষ্ণসার শিকারের সময় সলমনের সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা সইফ আলি খান, টাবু, নীলম-সহ অন্যরা।

দু'টি কৃষ্ণসার হরিণকে যে জমিতে কবর দেওয়া হয়েছিল, সেখানে শীঘ্রই একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করা হবে। স্মৃতিসৌধে কৃষ্ণসার হরিণের মূর্তি থাকবে। যে জমিতে প্রাণী দু'টিকে কবর দেওয়া হয়েছিল সেখানে ১ হাজার গাছও লাগানো হবে। প্রেম সরণ নামে এক উদ্যোক্তা জানান যে তাঁর সম্প্রদায়ের কিছু অল্প বয়স্ক যুবক এই উদ্যাগ নিয়েছেন। তাঁর যার জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও তৈরি করেছেন। স্মৃতিসৌধের জন্য প্রায় ২ লাখ টাকা লাগবে। প্রত্যেক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। আরও পড়ুন: Fatima Sheikh Birth Anniversary: আজ ভারতের প্রথম মুসলিম মহিলা শিক্ষক ফাতিমা শেখের জন্মদিন, বিশেষ ডুডলে শ্রদ্ধা জানাল গুগল

প্রেম বলেন, "মেশিন দিয়ে কমপক্ষে ৭ বিঘা জমি পরিষ্কার করা হয়েছে। এখন আমরা গাছ লাগানো শুরু করব এবং একটি কালো হরিণের মূর্তি স্থাপন করব।" প্রায় এক বছরের মধ্যে স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ হয়ে যাবে বলে আরও জানান প্রেম। তিনি বলেন, আমরা চাই হরিণ, কৃষ্ণসার এবং অন্যান্য প্রাণীরা জঙ্গলের পরিবেশ অনুভব করুক। মানুষের ভয়ে অনেক হরিণ মারা যায়, তাই আমরা তাদের নিরাপদ বোধ করতে দিতে চাই।"

প্রেমের আক্ষেপ, "এখানে হরিণ ও কৃষ্ণসারদের অবাধ বিচরণ দেখা যায়। ২৪ বছর আগে সলমন খান ও অন্যরা কৃষ্ণসার হত্যা করেছিল। তাঁরা পর্যটক হিসাবে এখানে এসেছিলেন। কিন্তু, তারপরে পশুদের গুলি করেন। আমরা চাই না যে ওই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক। তাই একটি ঘন জঙ্গল তৈরি করব, যাতে প্রাণীরা সবুজ পরিধিতে নিরাপদ থাকে।

১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যোধপুরের কানকানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়' ছবির শুটিং করতে যান অভিনেতা সলমন খান, সইফ আলি খান, টাবু, নীলম-সহ অন্যরা। শুটিং চলাকালীন দু'টি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করার অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। বিষ্ণোই সম্প্রদায় এই হত্য়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল এবং আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল রাজস্থান দায়রা আদালত সলমন খানকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকায় অন্য সহ-অভিযুক্তদের মুক্তি দেয় আদালত। সলমনের আইনজীবীরা সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন। বিষয়টি এখন রাজস্থান হাইকোর্টে বিচারাধীন।