মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে লোকসভা ভোটের প্রাথমিক প্রবণতায় দেখা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নোটায় (কোনটিই নয়) ২ লক্ষেরও বেশি ভোট পড়েছে। ভারতের নির্বাচন কমিশনের (ইসিআই) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ১ হাজার ৩৩৮টি নোটায় ভোট পড়েছে। নোটা ভোটারদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সমস্ত প্রার্থীর জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে 'প্রত্যাখ্যানের ভোট' দেওয়ার অনুমতি দেয়। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে এটি চালু করা হয়েছিল। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ইন্দোরে ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূল লড়াই বিজেপির বর্তমান সাংসদ শঙ্কর লালওয়ানি এবং নোটার মধ্যে। ১৩ মে ইন্দোরে ভোট হয়, যেখানে ২৫.২৭ লক্ষ ভোটারের মধ্যে ৬১.৭৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ইন্দোর লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপি প্রার্থী শঙ্কর লালওয়ানি দেশের সবচেয়ে বড় জয়ের দিকে এগিয়ে চলেছেন। ইন্দোরের ফলাফল নিয়ে সারা দেশে এখন আলোচনা। ইন্দোরে কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয়কান্তি বাম নির্বাচনের ঠিক আগে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। Kamal Nath: ৩০০ পেরোতেই হিমশিম খাচ্ছে বিজেপি! তীব্র কটাক্ষ করলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ
যার জেরে ইন্দোরে ভোটে লড়তে পারেনি কংগ্রেস। কংগ্রেস জনগণকে নোটায় ভোট দেওয়ার এবং তাদের প্রতিবাদ নিবন্ধন করার আহ্বান জানিয়েছিল। বিজেপির শঙ্কর লালওয়ানি ১১ লক্ষেরও বেশি ভোটে এগিয়ে। এর আগে ২০১৯ সালে বিজেপির সিআর পাতিল গুজরাটের নাভাসার আসনে ৬,৮৯,৬৬৮ ভোটে জিতেছিলেন, যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বড় জয়। শঙ্কর লালওয়ানি দেশের সবচেয়ে বড় জয়ের দ্বারপ্রান্তে। এবার দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নোটা আক্রান্তের রেকর্ড গড়েছে ইন্দোর। নোটা দুই লক্ষেরও বেশি ভোট পেয়েছে। ৫ লক্ষেরও বেশি ভোটে এগিয়ে রয়েছেন শঙ্কর লালওয়ানি। বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ নোটার রেকর্ড বিহারের গোপালগঞ্জে রয়েছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে ৫১ হাজার ৬৬০টি নোটা ভোট পড়েছিল। এক্ষেত্রে এবার রেকর্ড গড়তে পারে ইন্দোর।