৭মে, ২০১৯: বরাবরই হিসেবের বাইরে থাকা একটি অংশ যাকে নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলই কোনই নিশ্চিত পরিসংখ্যান দিতে পারেনি। দক্ষিণের রাজ্যগুলি বড় বেশি প্রাদেশিক। অর্থৎ তারা বরাবরই নিজেদের বঞ্চিত বলে দাবি করে থাকে। সেই সমীকরণেই বরাবরই সেখানে প্রাদেশিক দলগুলি পেয়ে এসেছে।
এডিএমকে(AIDMK), ডিএমকে(DMK), টিডিপি(TDP), টিআরএস(TRS) আর সবচেয়ে ব্যাতিক্রমী সিপিএম(CPM)। গোটা দেশে একমাত্র কেরলেই নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পেরেছে বামেরা। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে গোটা দেশের প্রবল মোদি ঝড়েও কেরলের গড় রক্ষা করেছে বামেরা। এবারও সেই গড়ে বিজেপি যে খুব একটা থাবা বসাতে পারবে এমন নয়। অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে এবার প্রবল ভাবে সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছে ডিএমকে। জয়ললিতার মৃত্যু আর এডিএমকের দলাদলি এবার যে ভোট বাক্সে বড় প্রভাব ফেলবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বিজেপির হাত ধরলেও এবার ডিএমকে–কে ঘরবন্দী করা কঠিন হবে পালানিস্বামীদের।
অন্যদিকে অন্ধ্র (Andhra Pradesh)এবং তেলঙ্গানা তো একেবারে প্রকাশ্যেই মোদির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে রেখেছে। আর এই দুই রাজ্যে এই দুই দলকে হারানোর মতো শক্তি বিজেপি(BJP) কেন কংগ্রেসও করে উঠতে পারেনি। বাকি রইল কেরল। সেখানে বামেরা ভীষণভাবে নিজেদের নিজেদের গড় রক্ষায় মরিয়া হয়ে রয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এখানে শবরীমালা মন্দিরের মহিলাদের প্রবেশাধিকারকেও ইস্যু করতে পারছে না বিজেপি। সব মিলিয়ে কেরলেও চাপে রয়েছে আমিত শাহরা। তার উপরে ওয়ানাডে রাহুল গান্ধী প্রার্থী হওয়ায় কংগ্রেস যে অনেকটাই ভোট কাটবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
আর কর্ণাটক। সেখানে বিজেপি বৃহত্তম দল হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেও সরকার গড়তে পারেনি। কংগ্রেস জেডিএস জোট সরকার গড়েছে। জোটে দ্বন্দ্ব থাকলেও আপাতত সেটা ভোটের কাঁটা হতে দিতে চায় না কোনও দলই। দেবগৌড়া নিজে এবারের লোকসভা ভোটে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন। নিখিল এবং প্রোজ্জ্বল দুই নাতিকে এবার প্রার্থী করেছেন তিনি। কর্নাটককে কোনও ভাবেই বিজেপির হাতে ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস এবং জেডিএস।