পাটনা, ১৬ এপ্রিল: মারণ ভাইরাস কোভিড-১৯ সম্পর্কে সচেতনতার প্রচারে গিয়ে গ্রামের বাসিন্দাদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ ও মেডিক্যাল টিম। চাঞ্চল্যকর ঘনাটি ঘটেছে বিহারের (Bihar) হরসিদ্ধি ব্লকের একটি গ্রামে। জানা গিয়েছে, গ্রামের মানুষকে মারণ ভাইরাস সম্পর্কে জানাতেই গিয়েছিল চিকিৎসক ও স্বাস্থকর্মীদের দলটি। তাঁরা গ্রামের মানুষের কাছে আবেদন রাখেন, যাতে লকডাউনের নিয়মাবলী মেনে চলে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে। পুলিশের কাছে অভিযোগ ছিল, ওই গ্রামের লোকজন সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন মানছেন না। তাই গ্রাম পরিদর্শন করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। এসডিও ধীরেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, এই হামলায় পাঁচজন নিরাপত্তা আধিকারিক ও একজন স্বাস্থ্যকর্মী আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিডিও, চিকিৎসাকর্মীর দল ও পুলিশ সেই গ্রামে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনতার প্রচার ও পরিদর্শনে যান। তবে গ্রামের বাসিন্দারা কিছুই শোনেনি। উল্টে হিংস্র হয়ে ওঠে। মারমুখী গ্রামবাসীদের কবল থেকে সকলকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও পাঁচজন পুলিশকর্তা। দেশ যখন মারণ বাইরাস করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। তখনই সচেতনাতর প্রচার চালাতে গিয়ে পুলিশ, সমাজকর্মী ও স্বাস্ত্যকর্মীদের উপরে একের পর এক আক্রমণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বুধগাঁও জেলার ওয়াথোরা এলাকায় করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচারে গিয়ে চলতি মাসের গোড়ার দিকেই স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হন। গোটা টিমকেই আটকে রাখা হয়েছিল। আরও পড়ুন- Coronavirus Outbreak: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে 'হটস্পট', 'নন হটস্পট' ও 'গ্রিন জোনে ভাগ দেশ
So, Block Development Officer (BDO) along with a medical team&Police went there to create awareness on #COVID19 among them. But they didn't listen & became violent. We rescued everyone from there but a health official & 5 police personnel were injured: Police (15.4) #Bihar https://t.co/MjHRbXdER2
— ANI (@ANI) April 15, 2020
জানা গিয়েছিল, স্থানীয়রা মারণ রোগে আক্রান্ত কি না তা জানতে স্ক্রিনিং করতে গিয়েছিলেন চিকিৎসকের দল। বিহারে এখনও পর্যন্ত ৭০ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। এখনও পর্যন্ত বিহারে মারণ ভাইরাসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতে ১১ হাজার ৯৩৩ জন মারণ রোগে আক্রান্ত এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৯২ জনের।