নতুন দিল্লি, ৬ জানুয়ারি: জেএনইউ-কাণ্ডে বিচার চেয়ে সরাসরি রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে সোমবার খোলা চিঠি লিখলেন তাঁরা। চিঠি লিখে ক্ষোভ উগড়ে তাঁরা বললেন, অবিলম্বে অধ্যাপক এম জগদেশ কুমারকে উপাচার্য পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হোক। এদিকে, জেএনইউ-কাণ্ডে অনুতাপ প্রকাশ করে এদিনই ইস্তফা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সবরমতী হস্টেলের ওয়ার্ডেন (Senior Warden of Sabarmati Hostel) আর মিনা (R Meena)। এদিন সকালেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ৩৪ পড়ুয়া, যারা গতরাতে আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছিলেন।
ইস্তফাপত্রে তিনি মিনা জানিয়েছেন, তারা নিরাপত্তা দিতে চাইলেও সক্ষম হননি, তাই পদত্যাগ করছেন। তিনি লেখেন, 'আমরা চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আমরা হস্টেলকে নিরাপত্তা দিতে পারিনি।' জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে নক্কারজনকভাবে শিক্ষক ও পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালানো হয়৷ আহত ৩৪ জন পড়ুয়া। ঘটনার দিন রাতেই তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ সভাপতি ঐশী ঘোষ (Aishi Ghosh) ভর্তি ছিলেন AIIMS-র ট্রমা সেন্টারে৷ গুরুতর আহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা সুচরিতা সেনও। প্রতিবাদে সরব দেশের সব প্রান্তের মানুষ৷ জেএনইউ ক্যাম্পাসে মুখোশধারীরা লাঠিসোটা হাতে হামলা চালায়৷ অভিযোগের তির এবিভিপি-র (ABVP) দিকে৷ রাজনৈতিক নেতা থেকে সংস্কৃতি দুনিয়ার তারকারা সকলেই নিগৃহত পড়ুয়াদের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন৷ আরও পড়ুন: JNU Violence: ইস্তফা দিলেন সবরমতী হস্টেলের ওয়ার্ডেন! হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরল ৩৪ পড়ুয়া
JNU Teachers’ Association writes open letter to President Ram Nath Kovind, demands "...removal of Professor M Jagadesh Kumar from his position as the Vice Chancellor…”#JNU #JNUViolence #JNUCampus pic.twitter.com/wnzxSZJuZF
— NDTV (@ndtv) January 6, 2020
এদিকে বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্যুইট করে এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে৷ নিজেদের ট্যুইটে তাঁরা এও দাবি করেছে, ছাত্রদের নিজেদের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে৷ দিল্লি কমিশনারের কাছে এই গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন অমিত শাহ (Amit Shah)৷