অমিত শাহ (Photo Credits: PTI)

শ্রীনগর, ১১ অগাস্ট: কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ৩৭০ (Article 370) ধারা তুলে নেওয়ার পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu & Kashmir) দিকে নজর গোটা দুনিয়ার। সবার এখন একটাই প্রশ্ন আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে ফোন-ইন্টারনেট থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া ভূ স্বর্গকে নিয়েই যতই ভাল খবর দেওয়ার চেষ্টা করুক প্রশাসন ইতিউতি অশান্তির খবর কিন্তু আসছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় গতকালের কার্ফু শিথিল থাকার পর আজ ফের শ্রীনগর সহ জম্মু-কাশ্মীরের বেশ কিছু জায়গায় ফের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় বলে খবর।

লোকজনকে দ্রুত ঘরে ফেরার নির্দেশও দেওয়া হয়। এক সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলে দেখানো হয় শ্রীনগর জুড়ে ঘোষণা চলছে যাঁরা বাইরে রয়েছেন তাঁরা যেন বাড়ি ফিরে যান। সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও পড়ুন-কাশ্মীর ইস্যুতে সার্টিফিকেট দিয়ে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহকে কৃষ্ণ-অর্জুন জুটির সঙ্গে তুলনা রজনীকান্তের

তবে ভারতের দাবি উড়িয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলি পাল্টা দাবি করে আসছে, কাশ্মীরের অবস্থা বেশ উত্তপ্ত। ভিডিয়ো তুলে ধরে তারা দাবি করছে, শুক্রবারও ইদগাহগুলিতে প্রার্থনার পরে উপত্যকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, হাজার মানুষ বিক্ষোভে নামেন। পথে নামে সাধারণ মানুষ, পুলিশের তরফে গুলি ও ছর্‌রাও ছোড়া হয়। যদিও প্রশাসন এই খবর পুরো ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

সংবাদসংস্থা ANI-শ্রীনগরের সাম্প্রতিক ভিডিও প্রকাশ করে দেখায়, সেখানকার অবস্থা স্বাভাবিক। তবে রাহুল গান্ধী সহ দেশের বিরোধী নেতারা কাশ্মীরে ঠিক কী হচ্ছে তা জানতে চাইছেন। অভিযোগ, কাশ্মীরের কমপক্ষে ৪০০ রাজনৈতিক নেতা বর্তমানে হয় গৃহবন্দি নয়তো গ্রেফতার হয়ে রয়েছেন। এনিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। কিন্তু কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তা বেরিয়ে আসছে না বলেই দাবি সংবাদমাধ্যমের।

এদিকে, জম্মু- কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের পক্ষে ফের সওয়াল করে অমিত শাহ দাবি করেন, ''এই বিশেষ ধারা বিলোপের ফলে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ শেষ হবে। উন্নয়নের পথে এগোবে কাশ্মীর।'' অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেন, নরেন্দ্র মোদি সরকার আরএসএসের কার্যক্রম সফল করতে নেমেছে। রবিবার টুইট করে ইমরান খান লেখেন, নাৎসি আদর্শে অনুপ্রেরণায় আরএসএস তার আধিপত্য চালাচ্ছে। আরএসএস-এর এই আগ্রাসী ভূমিকা আশঙ্কাজনক।