নতুন দিল্লি, ১০ জানুয়ারি: জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যাবতীয় নিষেধাজ্ঞা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আপাতত স্বস্তি জম্মু-কাশ্মীরে। সুপ্রিম কোর্ট এই মতামতও জানান যে 'ইন্টারনেটের মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা' ১৯ (১) (ক) অনুচ্ছেদের অধীনে মৌলিক অধিকার। প্রশাসনকে খুব শিগগিরই এই বিষয়ে পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি ১৪৪ ধারা যাতে তুলে নেওয়া হয় তাও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে নির্দেশ দেয় অবিলম্বে চালু করতে হবে ইন্টারনেট। সক্রিয় করতে হবে সরকারি ওয়েবসাইট , ই-ব্যাঙ্কিং। তাও সাত দিনের মধ্যে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জম্মু-কাশ্মীরে খানিকটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে চালু করতে হবে ইন্টারনেট। সব জরুরি পরিষেবায় ইন্টারনেট চালুর নির্দেশ। সরকারি ওয়েবসাইট দেখার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুন, মুম্বই, দিল্লিকে পিছনে ফেলে আত্মহত্যার ঘটনায় এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ
Supreme Court while delivering verdict on petitions on situation in J&K after abrogation of Article 370: It is no doubt that freedom of speech is an essential tool in a democratic set up.Freedom of Internet access is a fundamental right under Article 19(1)(a) of free speech https://t.co/NcuCbeMxih
— ANI (@ANI) January 10, 2020
ভারতের প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদের নেতৃত্বে তাঁদের বেঞ্চ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং জম্মু ও কাশ্মীরের উপর বিধিনিষেধ আরোপের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদনের বিষয়ে রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে বলেছে, "তথ্য আদানপ্রদানের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ইন্টারনেট। এবং এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতারই একটি অংশ। সুতরাং এ বিষয়ে দ্রুত পর্যালোচনা করতে হবে।"
জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদের প্রত্যাহারের পর থেকেই নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে কেন্দ্র। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়েই নিষেধাজ্ঞা জারি করে তারা। এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দল-সহ বিভিন্ন মহল কেন্দ্রের ভূমিকার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। যোগাযোগের মাধ্যম ইন্টারনেট পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়েও ক্ষোভ ছড়ায় সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে।