
ডঃ ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের জন্মদিনটি পালিত হয় আম্বেদকর জয়ন্তী হিসেবে। ডঃ আম্বেদকর স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি একজন মহান ভারতীয় সমাজকর্মী, চিন্তাবিদ, স্রষ্টা এবং সংবিধান প্রণেতা ছিলেন। প্রতি বছর ১৪ এপ্রিল পালিত হয় আম্বেদকর জয়ন্তী। এই দিনে তাঁর জীবন ও কর্মকে স্মরণ করে সকল ভারতবাসী। এছাড়াও এদিন স্কুল, কলেজ ও সরকারি অফিসে আয়োজন করা হয় বিশেষ অনুষ্ঠানের। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সকলকে আম্বেদকরের জীবন ও চিন্তার বিষয়ে অবগত করানো হয়। চলুন ডক্টর ভীমরাও আম্বেদকরের ৯৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেনে নেওয়া যাক তার সম্বন্ধে কিছু জানা অজানা তথ্য...
দেশের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিতদের প্রতি ডঃ আম্বেদকরের মহান সেবাকে স্মরণ করার জন্য পালিত হয় ডঃ বি.আর. আম্বেদকর জয়ন্তী। ভারতীয় সংবিধান প্রধানত তাঁরই মস্তিষ্ক প্রসূত। বঞ্চিত সম্প্রদায়ের আর্থিক অবস্থার উন্নতি এবং শিক্ষার মূল্যবোধের প্রচারের জন্য ১৯২৩ সালে বহিষ্কৃত হিতকারিণী সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ডঃ আম্বেদকর। তিনি এমন একটি সামাজিক আন্দোলনের দায়িত্বে ছিলেন যা দেশে জাতপাতের বিভেদকে দূর করার কাজ করেছিল। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সামাজিক অভিযান শুরু করেন, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল পুরোহিত, মন্দিরে প্রবেশ, জাতপাতের বিরুদ্ধে অভিযানও।
১৯৩০ সালে মানবাধিকারের জন্য নাসিক মন্দির প্রবেশ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ডঃ আম্বেদকর। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব করার সময় ডঃ আম্বেদকর বলেছিলেন যে রাজনৈতিক ক্ষমতার ব্যবহার হতাশাগ্রস্ত মানুষের সমস্যার সম্পূর্ণরূপে সমাধান করে না, তাই হতাশাগ্রস্ত মানুষদের সমাজে সমান অধিকার থাকা উচিত। ১৯৪২ সালে ভিক্টোরিয়ার নির্বাহী পরিষদে কাজ করার সময় তিনি শ্রমিক শ্রেণীর অধিকার রক্ষার জন্য অভিযান করেছিলেন। আজীবন একজন অর্থনীতিবিদ ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে সক্রিয় ছিলেন ডঃ আম্বেদকর।