নতুন দিল্লি, ১৯ জুন: অগ্নিপথ নিয়োগের পক্ষে বলে মুখ বললেন দেশের তিন সেনার শীর্ষকর্তারা। অগ্নিপথ নিয়ে পিছু হটার কোনও প্রশ্নই নিয়ে বলে সাফ জানিয়ে দিল ভারতীয় সেনা। দেশজুড়ে চলা অগ্নিপথ বিক্ষোভের মাঝে আজ, রবিবার সকালে পদাতিক, বায়ু ও নৌসেনা-এই তিন সেনার শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তারপর দুপুরে তিন সেনার শীর্ষকর্তারা সাংবাদিকদের সামনে অগ্নিপথ প্রকল্পের ভাল দিকটা তুলে ধরেন। লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিল পুরী জানান, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই প্রথম ব্যাচে ২৫ হাজার অগ্নিবীরকে পেয়ে যাচ্ছি আমরা। তারপর দ্বিতীয় ব্যাচে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরও ৪০ হাজার অগ্নিবীর যোগ দেবেন।
দেখুন ভিডিও
Indian Army's foundation in discipline. No space for arson, vandalism. Every individual will give a certificate that they were not part of protest or vandalism. Police verification is 100%, no one can join without that: Lt General Anil Puri, Addit'l Secy, Dept of Military Affairs pic.twitter.com/Ta421tRpkT
— ANI (@ANI) June 19, 2022
দেশে আগামী দিনে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করেই এগোতে হবে। তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তিতে অনেকটা বেশে সড়গড় তাই তাই অগ্নিপথে তরুণদের নিয়োগে জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, অগ্নিপথ নিয়োগ প্রকল্পে সেনাবাহিনীতে সাড়ে ১৭ থেকে ২৩ বছরের তরুণদের চার বছরের চুক্তিতে নিয়োগ করা হতে চলেছে। কেন্দ্রের এই ঘোষণার পরেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। আরও পড়ুন: 'অগ্নিপথ' নিয়োগ প্রকল্পের বিশদ বিবরণ প্রকাশ করল বায়ুসেনা, দেখুন এখানে
দেখুন টুইট
And if any FIR lodged against them, they can't join...They (aspirants) will be asked to write as part of the enrollment form that they were not part of the arson, their police verification will be done:Lt General Anil Puri, Addit'l Secy, Dept of Military Affairs #AgnipathScheme pic.twitter.com/7N1InFsBzG
— ANI (@ANI) June 19, 2022
যদিও দেশজুড়ে চলা অগ্নিপথ প্রতিবাদকে পরিকল্পিত চক্রান্ত বলে মনে করছে কেন্দ্র। বাইরে থেকে কেউ অগ্নিপথ আন্দোলন চালিয়ে দেশের শান্তি নষ্ট চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মেজর জেনারেল অনিল পুরী জানালেন, "ভারতীয় সেনার ভিত্তিই হল শৃঙ্খলা। এখানে বিশৃঙ্খলা, অশান্তি ছড়ানো, আগুন লাগানোর কোনও জায়গা নেই। অগ্নিপথ আন্দোলনে জড়িতরা যাদের নাম এফআইআ থাকবে তাদের কোনওভাবেই সেনায় নিয়োগ করা হবে না। প্রত্যেককে এটা জানিয়ে দিতে হবে যে তারা প্রতিবাদ বা বিশৃঙ্খলার পিছনে ছিল না। পুলিশ সেটা খতিয়ে দেখবে। সেটায় ১০০ শতাংশ নিশ্চিত না হওয়া গেলে কেউ যোগ দিতে পারবে না।