Arvind Kejriwal AAP: গত ১১ বছরে ২৫০টা কেস দায়ের হলেও কোনও দুর্নীতি মেলেনি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে দাবি আপ প্রধান কেজরিওয়ালের
Arvind Kejriwal (Photo Credits: ANI)

২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর। আন্না হাজারের প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে দিল্লিতে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল নতুন দল 'আম আদমি পার্টি'-র। অনশনের পর আন্না হাজারে পাশে না দাঁড়ালেও ঝাড়ু চিহ্ন নিয়ে শুরু হয়েছিল আপের লড়াই। অরবিন্দ কেজরিওয়াল, মণীশ সিসোদিয়া সহ অরাজনৈতিক উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়ে তৈরি হওয়া আপ-এর মূল মন্ত্রই ছিল দুর্নীতি বিরোধিতা। কংগ্রেস, বিজেপি সহ দেশের রাজনৈতিক দলগুলির দুর্নীতিকে ঝাড়ু মেয়ে সাফ করার ডাক দিয়ে ঝড় তুলে দিল্লির ক্ষমতা এসেছিলেন কেজরি।

দিল্লিতে আপ-এর অভাবনীয় সাফল্য তাদের দেশজুড়ে জনপ্রিয় করে তোলে। দেশের রাজধানী শহরে দু'বার বিজেপিকে একেবারে উড়িয়ে, কংগ্রেসকে একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দিল্লিতে ক্ষমতা রাখার পর আপ পঞ্জাবেও সরকার গড়েছে। গোয়া, হরিয়ানাতেও প্রভাব আছে কেজরির দলের।

কিন্তু আপ-এর প্রতিষ্ঠার ১১ বছর পর অবশ্য কেজরির দলকে সবচেয়ে বেশী অস্বস্তিতে রাখে নেতাদের দুর্নীতি ইস্যু। কেজরির ডান হাত তথা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া থেকে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন, প্রভাবশালী সাংসদ সঞ্জয় সিং-আপ-এর একের পর এক বড় নেতা এখন জেলে। দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিকেও বারবার জেরা করছে ইডি। আপ নেতাদের আশঙ্কা, কেজরিওয়ালকেও এবার গ্রেফতার করবে ইডি।

দেখুন ভিডিয়ো

দলের ১১ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে আপ নেতা-কর্মী, জনপ্রতিনিধিদের অভিন্দন জানিয়ে আপ প্রধান কেজরিওয়াল বললেন, মাত্র ১১ বছরের মধ্যেই আমাদের লড়াই আমাদের সর্বভারতীয় দল বানিয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াইয়ের জন্য আমাদের অনেক নেতা, কর্মীদের জেলে যেতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা পিছু হটব না। আপ-এর মত আর কোনও দলকে এতটা আক্রমণের মুখে পড়তে হয়নি। গত ১১ বছরে আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ২৫০টি-রও বেশী মামলা হয়েছে। কিন্তু একটা ক্ষেত্রেও কোনও দুর্নীতির প্রমাণ মেলেনি।" বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি তোপ দাগেন কেজরি। বিজেপির প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভুয়ো মামলায় মণীশ সিসোদিয়া, সঞ্জয় সিংদের চক্রান্ত করে জেলে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেন কেজরি। বিজেপি তার দলের বিধায়ক, জনপ্রতিনিধিদের মোটা অর্থের বিনিময়ে কেনার চেষ্টা করলেও বারবার ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি আপ প্রধানের।