অনিল আম্বানি(File Photo)

নতুন দিল্লি, ১৬ মার্চ: এবার আর্থিক তছরূপের অভিযোগে রিলায়েন্স গ্র‌ুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানি। ইয়েস ব্যংকের মালিক রানা কাপুরের বিরুদ্ধে যে অর্থ পাচারের মামলা চলছে, সেই কেসে অনিল আম্বানির (Anil Ambani) জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। সোমবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অনিল আম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। এদিন ইডি-র (ED) তরফে এই কথা জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, ইয়েস ব্যাংকের বিরুদ্ধে তদন্তের অঙ্গ হিসেবেই অনিল আম্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। অনিল আম্বানির সংস্থা ছাড়াও আরও যে সমস্ত বড় কোম্পানি ইয়েস ব্যাংকের কাছ থেকে মোটা অংকের ঋণ নিয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে ভোডাফোন, এসেল, আইএলএফএস, ডিএইচএফএল। গত ৬ মার্চ সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা জানান কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। এই সব বড় সংস্থার প্রধানদের ইয়েস ব্যাংক সংক্রান্ত তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকবে ইডি।

মুম্বইয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেটের অফিসে সোমবার অনিল আম্বানিকে ডাকা হয়েছে বলে খবর। তবে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে আম্বানি তারিখ পিছনোর অনুরোধ করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। আর্থিক সংকটে পড়া ইয়েস ব্যাংকের কাছ থেকে যে সব বড় কর্পোরেট সংস্থা মোটা অংকের ঋণ নিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম অনিল আম্বানির সংস্থা। তাঁর গ্র‌ুপ কোম্পানি ইয়েস ব্যাংকের কাছ থেকে ১২,৮০০ কোটি টাকার ঋণ নেয়। এদিকে মোদি সরকারের আমলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকগুলিও দেউলিয়া হওয়ার পথে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে। বাড়ছে মন খারাপের মাত্রা। প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়ছে ইয়েস ব্যাংক। বিজয় মালিয়া, নীরব মোদিরা মোটা অঙ্কের ব্যাংক ঋণ না মিটিয়েই পালিয়েছেন। তবে দেশে এখনও এমন শিল্পপতিরা রয়েছেন, যাঁরা ঋণ শোধ করেননি। আর এর জেরেই কিন্তু আশঙ্কা বাড়িয়ে বাড়ছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলির অনুৎপাদক সম্পদ বা NPA। এমন সময়েই দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের শেষে রিপোর্টে মোট NPA-র পরিমাণ বাড়ল Yes Bank-এ।রিপোর্ট অনুযায়ী, জুন ত্রৈমাসিকের ৫.০১%-এর তুলনায় সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিক রিপোর্টে ইয়েস ব্যাংকের মোট অনুৎপাদক সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৩৯%-এ। আরও পড়ুন- Nirbhaya Case: নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসির তিনদিন আগেই পবন জল্লাদকে রিপোর্টের নির্দেশ তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের

প্রসঙ্গত, গত বছর ব্যাংকের NPA-এর পরিমাণ ছিল ১.৬%। সম্প্রতি এক তথ্য জানার অধিকার আইনে জানা যায়, গত তিন বছরে অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লক্ষ ৭৬ হাজার কোটিতে। ১০০ কোটিরও বেশি NPA রয়েছে, এমন অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ৪০০-র বেশি।এই ত্রৈমাসিকে মোট ৬০০.০৮ কোটি ক্ষতি হয়েছে ব্যাংকের। গতবছর একই ত্রৈমাসিকে ₹৯৬৫ কোটি লাভ করেছিল Yes ব্যাংক। চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ২,১৮৬ কোটি মোট আয় করেছে ব্যাংক।