Dr Randeep Guleria, Director AIIMS (Photo Credits: ANI/Twitter)

নতুন দিল্লি, ৩ জানুয়ারি: রবিবার ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) দু'টি করোনা ভ্যাকসিনকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। একটি হল কোভিশিল্ড ( Covishield), আরেকটি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। যদিও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের আগেই কেন কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ও শশী থারুর। তাঁদের বক্তব্য, বিপজ্জনক হতে পারে। শশী থারুর লেখেন, "কোভ্যাক্সিনের এখনও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হয়নি। আগেভাগে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং তা বিপজ্জনক হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন দয়া করে বিষয়টি স্পষ্ট করুন। পুরো ট্রায়াল শেষ না হওয়া পর্যন্ত এটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। আপাতত অ্যাস্ট্রোজেনেকার এবং ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার টিকার ব্যবহার শুরু করতে পারে ভারত।"

প্রশ্ন উঠতেই অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া (Randeep Guleria) বলেছেন, "এটি দেশের জন্য একটি দুর্দান্ত দিন এবং নতুন বছর শুরু করার একটি ভালো উপায়।" তিনি আরও বলেছেন যে অনুমোদিত দুটি ভ্যাকসিনের মধ্যে দেশীয়ভাবে তৈরি কোভাক্সিন ব্যাকআপ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভ্যাকসিনগুলি যে নিরাপদ তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পর্যায়ে যায়। সমস্ত তথ্য বিশেষজ্ঞের দ্বারা সমালোচনামূলকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় যার পরে ভ্যাকসিন অনুমোদিত হয়। আরও পড়ুন: Covishield ও Covaxin ব্যবহারে অনুমোদন দিল ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া

গুলেরিয়া বলেন, ভারত বায়োটেক দ্বারা নির্মিত ভ্যাকসিন ব্যাকআপ হিসাবে ব্যবহৃত হবে। জরুরি পরিস্থিতিতে যখন হঠাৎ করে কেসগুলি বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং আমাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার দরকার হয়, তখন ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হবে। সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন কতটা কার্যকর হবে তা আমরা নিশ্চিত না হলে এটিকে ব্যাকআপ হিসাবেও ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তাদের ইতিমধ্যেই ৫০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি রয়েছে এবং তারা প্রাথমিক পর্যায়ে এটি দিতে সক্ষম হবেন। যেখানে আমরা প্রায় ৩ কোটি ভ্যাকসিন দেব ধীরে ধীরে এবং সেই সময়ের মধ্যে ভারত বায়োটেকের ডেটাও পাওয়া যাবে।