Rahul Gandhi (Photo Credit: ANI/Twitter)

লোকসভা নির্বাচনের মুখে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিল কংগ্রেস। সেই সঙ্কট একেবারে চরমসীমায় পৌঁছে গেল। শুক্রবার সকালে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে জাতীয় কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন জানালেন, আয়কর দফতর কংগ্রেস পার্টি ও যুব শাখার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করেছে। তাই এখন কংগ্রেসের কাছে খরচ করার মত কোনও টাকাই নেই। এরপর মাকেন দাবি করেন, বিদ্যুতের মাসিক বিলের টাকা থেকে দৈনন্দিন অফিস চালানোর খরচ করার সামর্থ্যও তার দলের নেই। টাকা না থাকায় রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা থেকে শুরু করে দলের সব কর্মসূচিতে বড় প্রভাব পড়েছে। সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ড অসাংবিধানিক রায় দেওয়ার পর আর্থিক সঙ্কট বাড়বে দলগুলির।

বেশ কয়েক বছর ধরেই বড় আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে কংগ্রেস। রাজস্থান, ছত্তিশগড় থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতা থেকে সরে গিয়ে আর্থিক সঙ্কট আরও বাড়ছে। এদিকে নির্বাচনের খরচ হু হু করে বাড়ছে। গত কয়েক বছরের বিজেপি-র আর্থিক শক্তি যতটা বেড়েছে ততই কমেছে কংগ্রেসের। দশ বছর দেশের ক্ষমতায় না থাকার জন্য বড় কোনও কর্পোরেট সংস্থা আর কংগ্রেসের সঙ্গে নেই। হাত শিবিরের অভিযোগ, তাদের সাহায্য করলেই ইডি হানা হতে পারে এমন আশঙ্কায় কোনও শিল্পপতি তাদের সাহায্য করতে রাজি হচ্ছে না। অথচ বিজেপির সঙ্গে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সমানে সামনে লড়াই দিতে টাকার খুব দরকার। কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, একেই আর্থিক শক্তি, ক্ষমতার প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপি ভোটের মুখে অশোক চহ্বান থেকে শুরু করে মিলিন্দ দেওরা-দের মত একের পর নেতাকে তাদের দলে টানছে। ডিজিটাল মিডিয়া যুদ্ধেও বিজেপির প্রচার বহরে বেড়েছে। এমন কঠিন সময় মানুষের কাছে পৌঁছতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন কংগ্রেসের।

দেখুন ভিডিয়ো

এই কারণে বছরের শুরুতেই সাধারণ মানুষের কাছে তাদের আর্থিক সাহায্য করার জন্য 'ডোনেট ফর দেশ বা দেশের জন্য অনুদান' নামের একটি ক্যাম্পেন আনে। তাতে বড় সাড়া মেলেনি। এরই মধ্যে আবার নির্বাচনী বন্ড নিষিদ্ধ করায় কংগ্রেসের সমস্যা দারুণভাবে বাড়ল।