দেশের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন একেবারে লাস্ট ল্যাপে এসে গিয়েছে। মিজোরিমা, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে। এবার বৃহস্পতিবার তেলাঙ্গনার পালা। তারপর আগামী ৩ ডিসেম্বর পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার ভোটের ফলপ্রকাশ। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে একেবারে অগ্নিপরীক্ষা বিজেপি, কংগ্রেসের।
ভোটপর্ব মিটলেই রাহুল পাড়ি দিচ্ছেন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনশিয়া, ভিয়েতনামে। আগামী ৯ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে উড়ে যাওয়ার কথা রাহুলের। সেখানে কুটনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রাহুলের। তারপর তাঁর যাওয়ার কথা মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে। মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের সঙ্গে কথা, সভায় যোগ দেবেন তিনি। ভিয়েতনামে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন রাহুল।
পাশাপাশি এই চার দেশে গিয়ে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন ওয়ানাড়ের কংগ্রেস সাংসদ। দেশে ফিরেই রাহুল নেমে পড়বেন ভারত জোড়ো টু-এর প্রস্তুতিতে। আগামী বছরের গোড়ায় দেশজুড়ে ভারত জোড়ো যাত্রায় যাওয়ার কথা রাহুলের। গতবারের চেয়ে অনেক বড় যাত্রার পরিকল্পনা নিচ্ছে কংগ্রেস।
দেখুন খবরটি
Congress MP Rahul Gandhi likely to travel abroad on December 9. He will be visiting Indonesia, Singapore, Malaysia and Vietnam. In Singapore and Malaysia, he will meet the Indian diaspora. In Indonesia, he will meet diplomats, he is also likely to meet Vietnam Communist Party… pic.twitter.com/L2sImlUk3o
— ANI (@ANI) November 28, 2023
কংগ্রেস যদি রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে ক্ষমতা ধরে রেখে, বিজেপির থেকে মধ্যপ্রদেশ ও বিআরএস-এর থেকে তেলঙ্গানা ছিনিয়ে নিতে পারে, তাহলে আগামী বছর লোকসভা চমক দেখানোর জন্য আদর্শ জমি পেয়ে যেতে পারেন রাহুল গান্ধী।
রাহুলের বিদেশ সফর নিয়ে বিজেপি আর সেভাবে কটাক্ষ করে না। কারণ পার্টটাইম রাজনীতিবিদের তকমা সরিয়ে রাহুল এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে যাচ্ছেন। তা সে কর্ণাটকে অনলাইন ডেলিভারি বয়দের সঙ্গে কথা বলে, বা রাজস্থানে কলেজ পড়ুয়াদের সঙ্গে আড্ডা মেরে, কিংবা বেঙ্গালুরুতে বাসে আচমকা উঠে পড়ে মহিলাদের অভিযোগ শুনে।
মঙ্গলবার দক্ষিণের এই রাজ্যে ভোটপ্রচারের শেষদিনে অটো চালকদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে তাদের কথা শুনলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী। রাহুলের নির্বাচনী প্রচারের এখন এটাই বৈশিষ্ট। শুধু জনসভায় বক্তব্য, প্রতিশ্রুতি দিয়ে নয়, মানুষের ভোট পেতে মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কর্ণাটকের রাহুলের এই স্ট্র্যাটেজির সুফল কর্ণাটকে পেয়েছে কংগ্রেস।