Photo Credits: ANI

নতুন দিল্লি: যেমন ঘটা করে আনা হয়েছিল, ততটাই নিশব্দে বিদায় দিতে হচ্ছে বিদেশ থেকে কুনো জাতীয় উদ্যানে আনা চিতাদের। গত পাঁচ মাসে মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ৮টি চিতার মৃত্যু হয়েছে। প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিদেশ থেকে চিতা এনে কুনোয় রাখার সিদ্ধান্ত। গত মে মাসে কুনোয়া ৬ টি চিতার মৃত্যুর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ ভিনসেন্ট ভ্যান ডার মেরওয়ে আশঙ্কা করেছিলেন সেখানে। তাহলে কি এবার কুনো থেকে সরানো হবে আফ্রিকা থেকে আঅনা চিতাদের? এই নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রী. বন ও পরিবেশ পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব।

চিতামৃত্যুর হার বাড়বে৷ কারণ নির্দিষ্ট চৌহদ্দি ছেড়ে মুক্ত অরণ্যে তারা যখনই মানিয়ে নিতে যাবে, তখনই সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা ছিল৷ বুধবারের পর শুক্রবার। মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও একটি চিতার মৃত্যু হয়। গত ৪ মাসে আটটি চিতাবাঘের প্রাণ হারানো নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মঙ্গলবার কুনোয় মারা গিয়েছিল এক পূর্ণবয়স্ক চিতা। সেই চিতাটির ঘাড়ে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায়। তাঁরা ডাক্তারদের বিষয়টি জানান। আহত চিতাকে পরীক্ষা করে ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়ে পশুচিকিৎসকরা শুশ্রূষা শুরু করেছিলেন৷ কিন্তু পরে চিতাটি মারা যায়।

দেখুন ভিডিয়ো

কুনোয় একের এক চিতার মৃত্যু নিয়ে এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় বনমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। মোদী মন্ত্রিসভার সদস্য ভূপেন্দ্র বললেন, " আমরা এই ব্যাপারে বন্যপ্রাণ নিয়ে গবেষণা করা আন্তর্জাতিক মহল সহ বিশেষজ্ঞদের কাছে যাবতীয় পরামর্শ নিচ্ছি। আমাদের একটি বিশেষ দল কুনোয় গিয়ে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ নেবে। তবে কুনো থেকে চিতাদের সরানোর কোনও প্রশ্নই নেই। ওরা ওখানেই ভাল আছে। আমি আশাবাদী আমাদের প্রজেক্ট চিতা এখান থেকেও সফল হবে।