নাগপুর, ২৯ মে: কলকাতার গরমে হাঁসফাঁস করছেন! তাহলে একবার মহারাষ্ট্রের কথা ভাবুন। বলিউডের রাজ্যে এত গরম যে ঘর থেকে বের হলেই মাথা ঘুরে যাওয়া নিশ্চিত। গোটা মহারাষ্ট্র জুড়ে তাপপ্রবাহ চলছে। মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলের তাপমাত্রাগুলো একটু শুনুন। কমলালেবুর শহর হিসেবে পরিচিত নাগপুরে তাপমাত্রা 47.5 ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরও বাড়বে। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, গত দশ বছরে এখানে এত গরম এর আগে পড়েনি। ভোটের ফলপ্রকাশের দিন, ২৩ মে নাগপুরের তাপমাত্রা ছিল 47.9 ডিগ্রি। ২০০৩ সাল থেকে নাগপুরে ৪৭ ডিগ্রি মানে যাকে চরম গরম হিসেবে ধরা হয়, পড়েছে ৬ বার।
নাগপুরের পাশে থাকা চন্দরপুর, যাকে ভারতের সবচেয়ে গরম শহর হিসেবে বলা হয়, সেখানে তাপমাত্রা আজ 47.8 ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিদর্ভের মধ্যে থাকা ওয়ারধা (), গাদছিরোলি, আকোলা, ইয়াভাতমাল, বুলধাওয়ানা ()- আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী শুক্রবার পর্যন্ত এই তাপপ্রবাহ চলবে। জানা যাচ্ছে, স্বাভাবিক সময়ে আন্দামানে পৌঁছালেও পিছিয়ে পড়েছে বর্ষা। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরেই আসবে বর্ষা। কবে ভারতীয় মূল ভখন্ডে প্রবেশ করবে তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে অনুমান ৬ জুন কেরালায় বর্ষা ঢুকছে। মহারাষ্ট্রে বর্ষা আসতে ১৫-১৭ জুন। ততদিন মহারাষ্ট্র চাতক পাখির মত বৃষ্টির অপেক্ষায় বসে থাকবে।
এদিকে, গতকাল, রাজ্যের তিন জেলায় ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। মুর্শিদাবাদ ও বীরভূম জেলায় ব্যাপক বৃষ্টি হয়।উত্তরবঙ্গে তরাই ও ডুয়ার্সে রোজই ঝড়-বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কমবে। জানা যাচ্ছে, স্বাভাবিক সময়ে আন্দামানে পৌঁছালেও পিছিয়ে পড়েছে বর্ষা। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরেই আসবে বর্ষা। কবে ভারতীয় মূল ভখন্ডে প্রবেশ করবে তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আগামী অন্তত দু সপ্তাহ কালবৈশাখীর ওপরই ভরসা করতে হবে। সাধারণত ৮ জুন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকে। তবে পরিস্থিত এমন থাকলে জুনের প্রথম থেকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতে পারে।