দুরবান, ১৯ অক্টোবর: চলতি বছরের জানুয়ারিতেই (January) সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল তার। তবে নানা কারণে দেরী হওয়ায় সাজার ঘোষণা হল গতকাল শুক্রবার। ম্যাচ ফিক্সিং (Match Fixing) এবং স্পট ফিক্সিংয়ের (Spot Fxing) দায়ে বর্তমানে শ্রীঘরে প্রাক্তন ক্রিকেটার গুলাম বদি (Former Crickter Gulam Bodi)। যে ধারায় বদির বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা হয়েছে সেই ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১৫ বছরের। তবে বদির পক্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন ছিল ৫ বছরের সাজার। সেটিই গ্রহণ করা হয়েছে। ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন (Imprisonment) তিনি। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।
তবে এই প্রথম নয়। তাকে ২০ বছরের জন্য ক্রিকেটের ময়দান থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড (South Africa Cricket Board) বলেই রয়েছে খবর। প্রায় চার বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া র্যাম স্ল্যাম টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ম্যাচ ফিক্সিং এবং অন্যদের প্রভাবিত করার অভিযোগ আনা হয়েছিল গুলামের বিরুদ্ধে। সে সময় ক্রিকেট বোর্ড তার ওপর ২০ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। এ বিষয়ে মামলাও করে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। মামলা গড়ায় আদালত (Court) পর্যন্ত। গতবছরের জুলাইয়েই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন বদি নিজেই। আদালতে সে বছর নভেম্বরেই তার অপরাধ প্রমাণিত হলে গতকাল অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রয়াত অধিনায়ক হানসি ক্রোনিয়ের (Hansie Cronje) পর এই প্রথম কোন ক্রিকেটার ওই একই অপরাধে দণ্ডিত হলেন। আরও পড়ুন: পাকিস্তানের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব খোয়ালেন সরফরাজ আহমেদ
উল্লেখ্য, ২০০০ সালে প্রোটিয়া অধিনায়ক হানসি ক্রোনিয়ের ম্যাচ ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে ২০০৪ সালে ক্রিকেট বিষয়ে নতুন আইন করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই নতুন আইন অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকার যেকোনো খেলায় ম্যাচ ফিক্সিং ও স্পট ফিক্সিং গুরুতর অপরাধ। প্রমাণ সাপেক্ষে এই অপরাধে জড়িতদের সর্বোচ্চ ১৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। এই আইনেই দণ্ডিত গুলাম বদি। তবে ১৫ বছর নয়, অপরাধেরা মাত্রা অনুযায়ী গুলাম বদিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।