বিদেশমন্ত্রী এস জয় শংকর (Photo Credit: PTI)

দিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যেকার সম্পর্কের উন্নতি হয়েছে, এই দৃশ্য দেখতে হলে বিশ্বকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানিয়ে দিলেন বিদেশমন্ত্রী ডক্টর এস জয় শংকর। তিনি জানান, সীমান্ত সন্ত্রাসকে রুখে দেওয়া নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে একটি বিরাট বড় মাপের চ্যালেঞ্জ। কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা (Article 370) উঠে যাওয়া পাকিস্তানে কাছে মোটেও কোনও ইস্যু নয়। আসল বিষয়টি হল পাক জঙ্গির অনুপ্রবেশ। যে ছবিটা দীর্ঘদিন ধরে একই রয়ে গিয়েছে, পাকিস্তান থেকে বারবারই নিয়্ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জঙ্গিরা এপারে ঢুকছে। তবে এটাও সত্যি যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই অংশ, বর্তমান মোদি সরকার মনে করে একদিন না একদিন মুজাফ্ফরাবাদে ভারতের হবে।

বিদেশমন্ত্রকের ১০০ দিনের পূর্তিতে এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন ডক্টর এস জয় শংকর (EAM S Jay Shankar)। সেখানে তিনি বলেন, “৩৭০ ধারা নিয়ে পাকিস্তানে সঙ্গে ভারতের আসল দ্বন্দ্ব নয়, দ্বন্দ্বের জায়গা হল সন্ত্রাসবাদ। যা পাকিস্তান (Pakistan) প্রতিনিয়ত লালন করে চলেছে, আর যেনতেন প্রকারেণ ভারতের সমৃদ্ধিকে নাশকতার বিনিময়ে রুখে দিতে চাইছে। বিশ্বকে এই বিষয়টি বুঝতে হবে। আমি তো জিজ্ঞাসা করি এমন একটি দেশ দেখান যেটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বিদেশনীতি অংশ হিসেবে প্রকাশ্যে জঙ্গি নাশকতায় ইন্ধন দিচ্ছে। আমরা সবসময় ভাল ও শক্তিশালী প্রতিবেশী সখ্যের আশা করে যাচ্ছি। তবে যতক্ষণ না প্রতিবেশী দেশটি আক্রমণের মোহ ছেড়ে সীমান্ত সন্ত্রাস ছেড়ে পুরোপুরি স্বাভাবিক প্রতিবেশীতে পরিণত হচ্ছে ততক্ষণ এই চ্যালেঞ্জ রয়েই যাবে।” আরও পড়ুন-Narendra Modi Birthday: জন্মদিনে গান্ধীনগরের বাড়িতে মা হীরাবেনের সঙ্গে মধ্যাহ্ন ভোজ সারলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দেখুন ছবি

বিদেশ মন্ত্রকের ১০০ দিনের পূর্তিতে এস জয় শংকর বলেন, দ্বিতীয় মোদি সরকার বেশ কয়েকটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে নতুন ভারত গড়ার ডাক দিয়েছে। তারমধ্যে এক দেশ এক ভারত গড়ার লক্ষ্যে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারার বিলুপ্তি। সেটি হয়ে গিয়েছে। এবার কাশ্মীরে বিকাশ আসবে। একইভাবে গত ১০০ দিনে আফ্রিকার সঙ্গে নিরন্তর আলাপ আলোচনা চালিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। একটাই লক্ষ্য সেদেশে অন্তত ভারতের ১৮টি দূতাবাস খুলতে হবে। কাজ অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ায় আংশিক সাফল্য এসে গিয়েছে। জাকির নায়েককে ভারতে ফেরাতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে। খুব শিগগির এই প্রত্যার্পণ প্রক্রিয়াও সম্পূর্ণ হবে।